প্রাক্তন কেএলওদের সংগঠনের মুখোমুখি পার্থ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের শাসক দলের নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে আজ দেখা করলেন প্রাক্তন কেএলও ও লিঙ্কম্যানদের একটি সংগঠন। কেএলও হামলার আশঙ্কায় পার্থপ্রতিমের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ওই সংগঠন ‘স্যারেন্ডার কেএলও ও লিঙ্কম্যান ওয়েলফেয়ার সমিতি’র তরফে জানানো হয়েছে, তারা পার্থপ্রতিমের পাশে রয়েছে। ওই সংগঠনের নেতা প্রাক্তন কেএলও প্রাণেশ নারায়ণ ঈশোর বর্তমান হোমগার্ডে হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “পার্থপ্রতিম রায় ভালো কাজ করছেন। উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁর পাশে রয়েছি। কারও হুমকিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সে কথাই জানিয়েছি।” ওই সংগঠনের আর এক সদস্য প্রাক্তন বিজেপি নেতা আনোয়ার হোসেনও ছিলেন এ দিন। আনোয়ারের দাবি, কেএলও-র হুমকির বিষয়টি বিজেপি-র ষড়যন্ত্র। তারা উত্তরবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করছে। তিনি বলেন, “বিজেপি ছাড়া এ সবের পেছনে কেউ নেই। বর্তমানে কেএলও’র কোনও অস্তিত্ব নেই।” বিজেপি অবশ্য ওই অভিযোগকে কোনও গুরুত্ব দিতে চায়নি।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময়কাল থেকে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একের পর এক বার্তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কোনওটাতে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হতে দেখা গিয়েছে জীবনকে। কোথাও আবার আলাদা রাষ্ট্রের দাবিও তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায়। তার প্রতিবাদে সরব হন তৃণমূলের রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতারা। সেই সময়ই প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাংবাদিক বিবৃতি দেয় কেএলও। এর পরেই দু’জনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গোয়েন্দারা নতুন করে কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে পার্থপ্রতিমকে নিয়ে কেএলও-র অন্দরে আলোচনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। নতুন করে পার্থপ্রতিমের নিরাপত্তায় কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তা জানতে পেরেই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন কেএলও ও লিঙ্কম্যানদের সংগঠন। পার্থপ্রতিম বলেন, “ওঁরা সবাই এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সবাই খুশি। তাঁরা পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।”