—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ট্র্যাপ ক্যামেরায় বছর দুয়েক আগেই ধরা পড়েছিল ছবি। আর এ বার গণনাতেও বাঘের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ মেলায় বক্সায় পর্যটনে আরও জোয়ার আনবে বলে আশায় বন দফতরের কর্তারা। তবে বাঘ গণনার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে বক্সার বনবস্তিগুলিকে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ারও দাবি তুলতে শুরু করেছেন পরিবেশ কর্মীরা।
বন দফতর সূত্রের খবর, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশের সঙ্গে বক্সাতেও শেষ বার বাঘ গণনা করা হয়। শনিবার যে রিপোর্টপ্রকাশিত হয়। যাতে নর্দান ওয়েষ্টবেঙ্গলে দুটি বাঘ থাকার কথা বলা হয়। যার মধ্যে একটি বাঘ বক্সার জঙ্গলে রয়েছে বলে জানানো হয়। সূত্রের খবর, ওই গণনার মাস খানেক আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বক্সার জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় একটি বাঘের ছবি ধরা পড়ে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার সময়টা বাদ দিলে প্রতি বছরই বক্সার জঙ্গলে গড়ে ৮০ হাজারের বেশি পর্যটক বেড়াতে আসেন। কিন্তু ট্র্যাপ ক্যামেরার পরে এ বার গণনার রিপোর্টেও বক্সায় বাঘ থাকার কথা উল্লেখ থাকায়উত্তরের এই জঙ্গলকে ঘিরে পর্যটন আরও বাড়বে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “বাঘের প্রতি পর্যটকদের একটা টান বরাবরই থাকে। সে জন্যই সুন্দরবনে এতো পর্যটক ঘুরতে যান। আমাদের এখানেও বছরভর প্রচুর পর্যটক আসেন। এ বার গণনার রিপোর্টে বাঘের কথা উল্লেখ থাকায় বক্সায় পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলেই আমাদের আশা।”
তবে গণনা রিপোর্টে বাঘ থাকার কথা উল্লেখ হতেই বক্সার বনবস্তিগুলিকে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসার দাবি উঠতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে উত্তরের এই জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাঘ বসবাসের আরও উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার দাবিউঠতেও শুরু করেছে। ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, “বক্সায় আগেই ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তাই শনিবার প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে এতআনন্দের আলাদা কিছু নেই। বরং, বাইরে থেকে আরও বাঘ এনেবক্সার জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সেখানে বাঘের বসবাসের পরিবেশ আরও ভাল করে গড়ে তুলতে হবে। খাদ্যের যাতে অভাব না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে বনবস্তিগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তনিতে হবে।”
বক্সার বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বক্সায় বাঘের বসবাসের পরিবেশ তৈরির কাজ অনেক দিন ধরে চলছে। সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। দু’টি বনবস্তিকে সরানোর ব্যাপারে অনুমোদন এনটিসিএ-র তরফে মিলে গিয়েছে। আরবাইরে থেকে বাঘ আনার বিষয়টিও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞেরা দেখছেন।