প্রতীকী চিত্র
কখনও নার্সের, কখনও মালদহ মেডিক্যালের টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে নিরাপত্তা রক্ষীরও মিলেছে করোনা পজ়িটিভ। এ বার করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলল মালদহের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকেরও। তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি পজ়িটিভ মিলেছে এক পুলিশেরও।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক। তাঁদের পাশাপাশি এবারে তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের কর্মীরাও। ফলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে মালদহের স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ ও প্রশাসনিক মহলে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ায় রয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের অফিস। সেই অফিসেই কর্মরত ছিলেন ওই আধিকারিক। জেলা জুড়েই বিভিন্ন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। অনেক ক্ষেত্রে আধিকারিকেরাও যাচ্ছেন। শুক্রবার সকালে ওই আধিকারিকের নমুনার রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলতেই হইচই পড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য মহলে।
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবতী বলেন, “আমাদের দফতরের যে কর্তার
রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলেছে, বাইরে থেকে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। তাঁকে নির্দিষ্ট স্থানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।” ঘটনায় উদ্বিগ্নে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৫০টি দল বিভিন্ন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। পিপিই পরে তাঁরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছেন।
স্বাস্থ্য মহলের পাশাপাশি উদ্বেগ ছড়িয়েছে পুলিশ মহলেও। এ দিন ফের এক পুলিশ কর্মীর লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। মালদহের পুলিশ সুপারের অফিসে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজ়েশন যন্ত্র। সেই যন্ত্রে পুরো শরীর স্যানিটাইজ় করানো হচ্ছে। এ ছাড়া একাধিক থানাতেও স্যানিটাইজ়েশন যন্ত্র বসানো হয়েছে।
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানার অফিসার, কর্মীদের লালারসের পরীক্ষা করা হচ্ছে।”