Elephant

মানুষের ছোঁয়া, বাচ্চা রেখে গেল হাতি

রাতে জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া সেবক সেনা ছাউনির পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল একটি বড় হাতি এবং তার বাচ্চা।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০২:২৫
Share:

উদ্ধার: হস্তিশাবক। নিজস্ব চিত্র

কুয়ো থেকে উদ্ধারের সময় লেগে গিয়েছিল মানুষের ছোঁয়া। তাই দেড় বছরের বাচ্চাকে ফেলে রেখেই জঙ্গলে ফিরে গেল মা হাতি। রবিবার রাতে বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের অধীনে সেবক রোড সেনা ছাউনির ঘটনা। বনকর্তাদের অনেকেই বলছেন মানুষের ছোঁয়া লাগলে হাতিকে অন্য হাতিরা দলে নেয় না, এমনকি বাচ্চাকেও ফেলে রেখে যেতে পারে। এটাই হাতিদের ক্ষেত্রে নিয়ম বলে জানাচ্ছেন বনকর্তারা।

Advertisement

রাতে জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া সেবক সেনা ছাউনির পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল একটি বড় হাতি এবং তার বাচ্চা। সেনাবাহিনীর তরফে খবর দেওয়া হয় বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের কর্তাদের। রাতেই বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগ থেকে উদ্ধারকারী দল আসে। উদ্ধারকাজে যোগ দেন সেনা জওয়ানরাও। সোমবার ভোরবেলা পর্যন্ত হাতি এবং তার বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। পরে মহানন্দা বন্যপ্রাণ বিভাগের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে একটি দল এসে উদ্ধারে হাত লাগায়।

সোমবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ হাতি এবং তার বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়। একটু ধাতস্থ করে বাচ্চাটিকে জল খাওয়ানোর চেষ্টা করেন জওয়ানরা। ফেরত পাঠানোর সময়ই নজরে আসে মাদি হাতিটির অদ্ভুত আচরণ। বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, একাধিকবার বাচ্চাটিকে মায়ের সঙ্গে ছেড়ে রাখা হলেও সেটিকে সঙ্গে নিচ্ছিল না। বাচ্চাকে ছেড়েই জঙ্গলের দিকে পা বাড়ায় মা হাতি। তখন বাচ্চাটিকে গরুমারার উদ্ধারকেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বনকর্তারা।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল বিপিন সুদ বলেন, ‘‘অনেক সময়ই এই আচরণ বড় হাতির ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছে। মানুষের ছোঁয়া পেলে বাচ্চাকে ফেরত নিতে চায় না।’’

উদ্ধারের সময় মানুষের ছোঁয়া যতটা সম্ভব এড়িয়েই কাজ করতে চেষ্টা করে বন দফতর। মহানন্দা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও জিজু জেসপার জে বলেন, ‘‘অনেক চেষ্টার পর হাতি ও বাচ্চাটি উদ্ধার হয়। অল্প হলেও মানুষের ছোঁয়া তো লেগেই যায়। তা একেবারে এড়িয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না।’’ কিছুদিন আগেই বাগডোগরা রেঞ্জ থেকে আরও একটি হাতির বাচ্চা উদ্ধার হয়ে আসে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সেটি এখন সুস্থ রয়েছে বলে সাফারি পার্ক সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement