ডিমের ওমলেট খাওয়া নিয়ে দুই ভাই-বোনের ঝগড়া। আর তারপরেই অভিমানে দিদি আত্মঘাতী হল ধূপগুড়িতে। মঙ্গলবার দুপুরে ধূপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ির হাসপাতাল পাড়ায় এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিমের অমলেট বানিয়েছিল বছর ১৫-র কিশোরী লতিকা। তার ভাই বছর ১১-র কৃষ্ণ বাড়িতে খেতে এসে ওমলেট দেখে অর্ধেক দাবি করে। কিন্তু নিজের জন্য বানানো ওমলেট দিতে রাজি হয়নি দিদি। তাই নিয়েই শুরু হয় ঝগড়া। তখনই ডিম ভাজার হাতা দিয়ে ভাইয়ের কপালে মারে দিদি। পাল্টা দিদির দিকে ঢিল ছোড়ে ভাই। তারপর রাগের বশে চলে যায় বাড়ি ছেড়ে। বাবা-মা তখন বর্গা নেওয়া জমিতে কাজে গিয়েছিলেন।
পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দা অখিল মণ্ডল বর্গা চাষ করেন। একটি পানের দোকানও রয়েছে তাঁর। অখিলবাবুর ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া লতিকা। অখিলবাবু বলেন, “ডিমের ওমলেট খাওয়া নিয়ে ভাই বোনের ঝগড়াতেই মেয়ে অভিমানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। ভাই বোন মাঝে মধ্যে ঝগড়া করত। কিন্তু ডিম খাওয়া নিয়ে এমন হবে ভাবতে পারছি না।’’ তিনি জানান তাঁরা স্বামী-স্ত্রী তখন বাড়ির পাশে একজনের বর্গা নেওয়া জমিতে চাষ করা পাট ভাগ করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে মেয়েকে ডেকেও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের পর্দা তুলে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।
তাঁর চিৎকার শুনে স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেহ নামায়। তখনও লতিকার দেহে প্রাণ ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কৃষ্ণ বলে, “কড়াইয়ে ওমলেট দেখে দিদির কাছে অর্ধেক চেয়েছিলাম। দিদি তা না দিয়ে আমাকে বকাবকি শুরু করে। সঙ্গে হাতা দিয়ে আমার কপালে জোরে আঘাত করে। আমি রাগে দিদিকে কয়েকটি ঢিল ছুড়ি। কিন্তু দিদির গায়ে ঢিল লাগেনি। পরে আমি দোকানে চলে আসি। ”
ধূপগুড়ির পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।