কোচবিহার থেকে শুরু হল ডিওয়াইএফআইয়ের ইনসাফ যাত্রা। — নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শুরু হল কোচবিহার থেকে। শুক্রবার যাত্রার শুরু হয় রাসমেলা সংলগ্ন মাঠ থেকে। কোচবিহার থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাম যুবকর্মীরা আগামী ৭ জানুয়ারি পৌঁছবেন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানেই হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ইনসাফ যাত্রার সূচনা উপলক্ষে কোচবিহারে হাজির ছিলেন যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
ডিওয়াইএফআইয়ের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস ৩ নভেম্বর। সে দিনই কোচবিহার থেকে শুরু হল ‘ইনসাফ যাত্রা’। শুক্রবার সকাল থেকেই রাসমেলা সংলগ্ন মাঠে প্রস্তুতি চলছিল। মূলত, সকলের জন্য কাজের দাবিতে যাত্রা হলেও তাতে ঘুরেফিরে আসবে রাজ্যের শিল্পায়ন, দুর্নীতির মতো বিষয়ও। কোচবিহার থেকে হাঁটতে হাঁটতে এই যাত্রা আগামী ৭ জানুয়ারি পৌঁছবে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানে হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, রাজ্যে তাঁদের চার হাজার ইউনিটের তরফে বাড়ি বাড়ি কৌটো দিয়ে আসা হবে এবং এক মাস পরে তা ফেরত নিয়ে আসা হবে। মানুষের কাছ থেকে তোলা অর্থেই ব্রিগেড সমাবেশ হবে।
যাত্রার সূচনা করে সংগঠনের সম্পাদক মিনাক্ষী বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে ইনসাফ যাত্রা শুরু হল। আগামী দু’মাস রাজ্যের ছাত্র, যুব, যৌবন পায়ে হেঁটে কলকাতা পৌঁছবে। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা হবে কাজ ও শিক্ষার দাবিতে। এই সরকার রাজ্যের যুবদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে, কৃষকদের আত্মঘাতী হতে বাধ্য করছে। ঘুষ নেওয়ার জন্য সরকারি অফিস খুলে রেখেছে। আর নেতাদের খাটের তলায় টাকা লুকিয়ে রাখা! চুরি করে অনেকেই জেলে গিয়েছেন। কিন্তু স্পষ্ট করে বলতে চাই, চুরির অভিযোগের দ্রুত তদন্ত না হলে কেন্দ্রকেও এর জবাব দিতে হবে। এই জন্যই ইনসাফ চেয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’’
আগামী দু’মাস ধরে রাজ্যের সমস্ত জেলা ছুঁয়ে এসে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে সমাপ্তি সমাবেশ। ইতিমধ্যেই সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে সব জেলা কমিটিকে বলে দেওয়া হয়েছে, যুবদের ব্রিগেড ভরাতে শাখা স্তর থেকে উদ্যোগী হতে হবে। ডিওয়াইএফআই তাদের সাংগঠনিক দস্তুর বজায় রেখে ‘ইনসাফ যাত্রা’ ও ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে অর্থসংগ্রহও করছে।