গাইড ম্যাপের বিজ্ঞাপনে কড়াকড়ি পুলিশের

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর গাইড ম্যাপে ২৪টি বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন ছিল। শহরের একাধিক হোটেল-পানশালার বিজ্ঞাপনও ছিল গত বছরের গাইড ম্যাপে। গোড়া থেকে এমনটাই চলছে বলে পুলিশের একাংশের দাবি। সেই প্রবণতায় এ বার ছেদ পড়তে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৪
Share:

পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ পুলিশের।

সরকারি পুজো গাইড ম্যাপে বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ির নির্দেশ ছিল জলপাইগুড়ির নয়া জেলা পুলিশ সুপারের। তা মেনে বেসরকারি হোটেল, পানশালা, ঠিকাদার সংস্থার বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছে না পুলিশের প্রকাশিত জলপাইগুড়ির দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপে। প্রতি বছর জেলা পুলিশ প্রকাশ করে পুজো গাইড ম্যাপ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর গাইড ম্যাপে ২৪টি বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন ছিল। শহরের একাধিক হোটেল-পানশালার বিজ্ঞাপনও ছিল গত বছরের গাইড ম্যাপে। গোড়া থেকে এমনটাই চলছে বলে পুলিশের একাংশের দাবি। সেই প্রবণতায় এ বার ছেদ পড়তে চলেছে। সম্প্রতি জেলার তাবড় অফিসারদের ডেকে জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেসরকারি বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমাতে হবে। বির্তকিত কোনও সংস্থার থেকে বিজ্ঞাপন নেওয়া যাবে না। গাইড ম্যাপে কোন সংস্থার বিজ্ঞাপন থাকছে, তাও পুলিশ সুপার নিজে দেখে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “বেসরকারি বিজ্ঞাপন নেওয়া হবে না এমনটা কথা নয়। তবে বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সেগুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এ বছর প্রস্তুতির সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গাইড ম্যাপ দেখে যেন মনে না হয় যে পুলিশ বহু বেসরকারি সংস্থা থেকে টাকা তুলেছে। সম্প্রতি পানশালা কাণ্ডে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। সেই কারণে কোনও হোটেল-পানশালার বিজ্ঞাপন গাইড ম্যাপে থাকুক তা জেলা পুলিশের শীর্ষস্তর চায়নি বলে খবর। পুরসভা, এসজেডিএ-এর মতো সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থার নাম থাকবে এ বছরের গাইড ম্যাপে, এমটাই খবর পুলিশ সূত্রের।

পুলিশ জানিয়েছে, যে বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন থাকবে তারা কোনও না কোনও ভাবে সরকারি কাজে যুক্ত। যেমন একটি বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন রয়েছে গাইড ম্যাপে। সেটি পাওয়ার গ্রিডের কাজ করে। জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, “গতবারের বিজ্ঞাপনদাতার তালিকায় বহু ওজনদার এবং প্রভাবশালী ছিলেন। এ বার পুলিশ সুপারের নির্দেশে সব বাদ পড়েছে। গাইড ম্যাপে পুলিশের লোগো, পুলিশ কর্তাদের ছবি থাকে। সেখানে বেসরকারি সংস্থার নাম থাকলে বির্তকের আশঙ্কাও থাকে।”

আজ রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের গাইড ম্যাপ প্রকাশিত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement