প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কাই সত্যি হল। আরও কমে গেল চা শ্রমিকদের পুজো বোনাস। শুধু কমে যাওয়াই নয়। সেই কমে যাওয়াটা গত বারের থেকে পুরোপুরি এক শতাংশ কম। এ জন্য দেশজুড়ে মন্দাকেই দায়ী করছেন চা মালিকদের একটা বড় অংশ। শাসক-বিরোধী একাধিক চা শ্রমিক সংগঠন চা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের কথায়, শতাংশের হিসাবে বোনাস কমলেও, অর্থের হিসাবে গত বারের চেয়ে এ বছর বেশি টাকা বোনাস পাবেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক সংগঠন সূত্রের খবর, বছর দুয়েক আগে তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগান শ্রমিকদের বোনাসের হার ছিল ১৯.৭৫ শতাংশ৷ কিন্তু গত বছর তা ০.২৫ শতাংশ কমে যায়। ফলে গতবার বোনাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯.৫ শতাংশে। সূত্রের খবর, রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন দিনে তিন দফায় কলকাতায় বোনাস নিয়ে বৈঠক হয় চা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে। প্রথম দু’দফার বৈঠক থেকেই বোনাসের হার কমানোর দাবিতে সরব ছিলেন চা মালিকদের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এ বার বোনাস আরও কমে গেল।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের হার ঠিক করতে রবিবার কলকাতায় বৈঠকে বসে দুই পক্ষ৷ সেই বৈঠকেই ১৮.৫ শতাংশ পর্যন্ত বোনাসের বিষয়টি ঠিক হয়। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের সচিব রামঅবতার শর্মা বলেন, ‘‘শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বার চা শ্রমিকদের বোনাস ১৮.৫ শতাংশ ঠিক হয়েছে। একে আমাদের শিল্পে মারাত্মক সঙ্কট। তার উপর চায়ের দাম কম, এবং সর্বত্র চলা মন্দা।’’
যদিও এই সিদ্ধান্ত অবশ্য মেনে নিচ্ছেন শাসক-বিরোধীরা প্রায় সবাই। চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়ানের সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘গত এক বছরে আমাদের সরকার চা শ্রমিকদের বেতন অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে শতাংশের হারে কমলেও অনুপাত অনুযায়ী গত বারের থেকে চা শ্রমিকেরা অনেকটাই বেশি টাকা পুজো বোনাস পাবেন।’’ একই কথা বলেন সিটুর চা শ্রমিক নেতা গোপাল প্রধানও।