চামুর্চি ইকো পার্কের নজরমিনার। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগেই পর্যটক টানতে তৈরি ভুটান পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা চামুর্চি ইকো পার্ক। সবুজে ঢাকা ভুটান পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে নদী। সবুজে ঢাকা পাহাড়ের কোলে দু’দেশের মাঝে যেন জিরো পয়েন্ট! মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এই পার্কের মাঝে রয়েছে ‘আই লাভ চামুর্চি’ লেখা ফলক। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি নজর মিনার এবং পর্যটকদের থাকার জন্য চারটি পর্যটক আবাস।
ইকো পার্কের সুসজ্জিত ডাইনিং রুমটিও অন্যতম আকর্ষণ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে ইতিমধ্যেই সেলফি জোন হয়ে দাঁড়িয়েছে জায়গাটি। পুজোর মরসুমে এ বার এখানে ভাল ভিড় হবে বলে আশাবাদী পর্যটন কেন্দ্রের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং এলাকার বাসিন্দারা। ভুটান পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে বিরাট এলাকা জুড়ে ঘোরার পরিসর। খাবার থেকে শুরু করে রাত্রি যাপন করার ব্যাবস্থাও।
চামুর্চির দৃশ্য।
পর্যটকরা এই ভুটান পাহাড়ের কোলে ভারতীয় সীমানায় গড়ে ওঠা চামূর্চি ইকো পার্কে ঘুরতে গেলে এখানে রাত্রিবাস করে সহজেই ঘুরতে আসতে পারবেন পড়শি দেশ ভুটান থেকে। সেখানকার মনোরম দৃশ্য ও গুম্ফা দর্শনের সুযোগ মিলবে চামুর্চি থেকেই। আড়াই বছর পর সদ্য খুলে গিয়েছে ভুটান গেট। ফলে এ বার পুজোয় ভাল পর্যটক সমাবেশের আশা করছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া জলদাপাড়া, বক্সা, গরুমারা, চাপড়ামারির মতো অরণ্যে ভ্রমণ করা যাবে চামুর্চিতে থেকেই।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা রায়। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতের পিবিজি ফান্ড থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই ফলক ও পর্যটক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখেছি বর্তমানে এই ধরনের ফলক নির্মাণ করতে। সেই থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের এলাকাকে সাজিয়ে তুলতে এই ফলক বসিয়েছি। এখানে পর্যটক এসেই ছবি তুলছেন।’’
রিসর্ট কর্মী সায়নদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখানে এলে পর্যটকরা দারুণ আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার মনোরম দৃশ্য এখানকার আবহাওয়া তাদের আকৃষ্ট করবে। রিসর্ট থেকে ৫০০ মিটার দূরেই ভুটান পাহাড় আর আর তার গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে রেতি নদী। অন্যপাশে জঙ্গল। হাতি, ময়ূর, হরিণ-সহ নানা বন্যপ্রাণীরও আনাগোনা রয়েছে এখানে।’’