— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। অথচ, এখনও উপাচার্যহীন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-শিক্ষক-কর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। প্রতিনিয়তই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট অফিসার নেই মাস দেড়েকের উপরে। ফলে, ফিনান্স অফিসার বেতন ছাড়া, অন্য কোনও খরচ ছাড়তে পারছেন না। তাতে নানা কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাঁদের ‘স্ট্যাটিউট’ (অনুমোদিত আইন) পর্যন্ত তৈরি হয়নি। শিক্ষক, কর্মী নিয়োগ হয়নি। কোনও রকমে চলছে। এ বছর এই পরিস্থিতির জেরে নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ারাও ভর্তি হতে উৎসাহ হারিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘উপাচার্যহীন অবস্থায় নানা সমস্যা বাড়ছে। সে কারণে আমরাও চাই, যত দ্রুত সম্ভব উপাচার্য নিয়োগ হয় ততই ভাল।’’ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ হয়ে যাবে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন কঠিন হয়েছে যে সে সব সমস্যা না মেটা পর্যন্ত এক-একটা দিন এক-একটা বছরের মতো লাগছে দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয় বা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁদের একাংশের মতে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হোক।
দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সুজাতারানি রাই দিন কয়েক আগেই জানিয়েছেন, তাঁরাও চাইছেন দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। না হলে সমস্যা বাড়ছে।’ এর মধ্যে উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব চন্দ্রাণী টুডু পাহাড়ে এলে তিনি মংপু আইটিআই কলেজে দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটির অস্থায়ী ক্যাম্পাস যান। তাঁকে পরিস্থিতির কথা জানান কর্তৃপক্ষ। সব শুনে পরিস্থিতি আঁচ করে তিনিও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে উপাচার্য নিয়োগ না হলে সে সব কোনও প্রক্রিয়াই যে হবে না, তা সকলেই বুঝতে পারছেন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে খবর, অডিট অফিসার না থাকায় বিভিন্ন ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম কেনা যাচ্ছে না। গবেষণার কাজে তার প্রভাব পড়ছে। উপাচার্য না থাকায় দুই শতাধিক গবেষণাপত্রের অনুমোদন আটকে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন গত কয়েক বছর ধরে হয়নি। স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় এই সমস্যা চলছে। অন্য দিকে, দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়েরও সমস্ত কাজ কার্যত আটকে।