—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একটি বাড়ি থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার। রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মৃতের নাম তপন দে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া পিরপুকুরের পাশে একটি বাড়িতে তিনি মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে থাকতেন। দু’বছর আগে স্ত্রী তাঁদের ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। মেয়ে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। শনিবার সকালে পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। তখন বাড়িতে তপন একাই ছিলেন। স্থানীয়েরা কিছু ক্ষণ পরে তপনের বন্ধু রতনকে বাড়ির থেকে বার হতে দেখেন। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি বাড়িতে ঢুকে দেখেন, তপন এবং আর এক জনের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় এখনও মেলেনি। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
এই ঘটনায় রতনকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেনডুক শেরপা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক তপন ছাড়াও আরও এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে খুন, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক জনকে আটক করা হয়েছে।