উন্মত্ততা: ভক্তিনগরে পুলিশের গাড়ির কাচ ভাঙা হল। নিজস্ব চিত্র।
দোল শান্তিতে মিটলেও বুধবার হোলিতে শহর জুড়ে অশান্তি হল শিলিগুড়িতে। ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হামলায় পুলিশের গাড়ির কাচ ভাঙল। এমনকি, অশান্তি মেটাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকেও।
বুধবার বিকেলের পর থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা শুরু হয়। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ভক্তিনগর এলাকায় রং খেলার পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা বাধে। খবর পেয়ে এনজেপি থানার টহলদারি ভ্যান এলাকায় যায়। দু’জনকে আটক করে। অভিযোগ, এর পরে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে কিছু যুবক। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এনজেপি থানার উদয়নগর কলোনিতেও ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, কিছু যুবক সেখানকার মহিলাদের কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করলে ওই যুবকেরা এলাকায় ঢুকে হামলা করে। এলাকার বাসিন্দাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা করাতির ভাইকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রধানের উপরেও হামলা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয় এলাকায়।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে রং খেলা ঘিরে ঝামেলা বাধে দুই পরিবারের মধ্যে। এর পরে সেখানে যান বিজেপি নেতা বিকাশ সরকার। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে বিকাশ সরকার ও আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। যদিও রাতে তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতার আটক হওয়ার খবর পেয়ে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও বিজেপি কাউন্সিলরেরা থানায় হাজির হন। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলম খান থানায় যান। তিনি বলেন, ‘‘দুটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আলোচনায় বসে মীমাংসা করে নেওয়া হবে।’’
এ দিকে দোল ও হোলিতে শহর জুড়ে প্রচুর দুর্ঘটনায় শতাধিক লোকজন জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ইস্টার্ন বাইপাসে মোটরবাইকের ধাক্কায় এক সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। বুধবার দুপুরের পর থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় আহতদের ভিড় শুরু হয়। এক চিকিৎসক জানান, একশোর কাছাকাছি আহত ব্যক্তি এসেছেন। বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শহর জুড়ে ঝামেলা ও হাতাহাতিতেও অনেকে জখমও হয়েছেন। দু’দিনে প্রতিটি থানায় বেশ কিছু জনকে ঝামেলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।