—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডের পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সরকারের উদ্যোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানালেও তা কতটা ‘যথাযথ’, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সুপারের দফতরে বিক্ষুব্ধ রোগীর লোকজন মঙ্গলবার ভাঙচুর চালানোর পরে। আন্দোলনকারী ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি’ (পিজিটি) পড়ুয়াদের দাবি, কিছু কাজ হলেও এখনও নিরাপত্তার অনেক সমস্যাই রয়ে গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘‘যে সমস্যাগুলো নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উঠে এসেছিল, তার কাজ সরকারের তরফে করা হচ্ছে। নতুন সিসি ক্যামেরা বসানো থেকে ‘ডিউটি রুম’ এবং ‘ওয়াশ রুম’ তৈরি ও সংস্কার করা হয়েছে। কিছু পুলিশ দেওয়া হয়েছে। নতুন আলো বসানো হয়েছে ক্যাম্পাসে।’’ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘পুলিশ প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্থায়ী মহিলা পুলিশ এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে মোটরবাইক পেট্রল চলছে, মহিলা উইনার্স টিম কাজ করছে।’’
আন্দোলনকারীদের দাবি, কিছু হয়নি তা বলা যাবে না। তবে যা হয়েছে, তাতে তাঁরা পুরোপুরি আশ্বস্ত হননি। বিশেষ করে সুপারের দফতরের মতো জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা মঙ্গলবার ভাঙচুরের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়েছে। আর জি কর-কাণ্ডের পর সামনে আসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সাকুল্যে ৮২ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। রাতে দুই-এক জনকে গোটা ক্যাম্পাসে টর্চ আর লাঠি হাতে পাহারা দিতে হয়। সে সময় স্থায়ী পুলিশকর্মী মোতায়েনের দাবি ওঠে।
আর জি কর-কাণ্ডের পরে চিকিৎসকদের ‘ডিউটি রুম’, ‘ওয়াশ রুম’ নিয়ে অভিযোগের পরে তা করা হয়েছে বলে অধ্যক্ষের দাবি। আন্দোলনকারীদের তরফে পিজিটি উৎস আইচ বলেন, ‘‘সরকার বলছে, সব করে দেওয়া হয়েছে। আমরা তা দেখছি না। কিছু কাজ হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে খামতি রয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এখনও পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের ডিউটি রুম আলাদা করে করা যায়নি। হস্টেলের পিছনের অংশে আলো বসেছে ঠিকই। আবার কিছু জায়গায় এখনও আলোর ব্যবস্থা হয়নি। রাতে কাজে যাওয়া বা কাজ থেকে ফেরার সময় মহিলা চিকিৎসকদের অপরিচিত ব্যক্তি মোটবাইকে অনুসরণ করছে বা গায়ে হাত দিয়ে
মোটরবাইক চালিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনা এখনও ঘটছে।’