দুর্ভোগ: বালুরঘাট হাসপাতালে বৃষ্টির জমা জলের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিতে লাইন। ছবি: অমিত মোহান্ত
সংক্রমণের গতি কিছুটা কমলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনায় মৃত্যু অব্যাহত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রবিবার রাতে বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে ষাটোর্ধ্ব দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন মহিলা। বংশীহারি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা (৬৩) এক সপ্তাহ আগে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যজন বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা। সোমবার কোভিড হাসপাতালে রয়েছেন ৪৬ জন রোগী। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। ওই দু’জনের মৃত্যুতে জেলায় কোভিডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪৫।
জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, সংক্রমিত রোগীদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর কোভিড হাসপাতালে আনা হচ্ছে। গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মনিটরিং ব্যবস্থা ঠিক মতো না হওয়ার কারণে শেষ মুহর্তে রোগীরা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েন। কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা করেও তাদের বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে রোগীর তথ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরে নিয়মিত জানাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ ওই কোভিড হাসপাতালকে এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ। ফোনে ও অনলাইন মাধ্যমে তাঁরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। অথচ তাদের কোভিড হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেখার কথা। বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে একাংশ চিকিৎসকের বিষয়ে এমন অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে। এ বিষয়ে তিনি ওই চিকিৎসকদের সতর্ক করেন বলে খবর। তবে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। রোজ প্রায় দুশো থেকে কমে ১৫০ থেকে ১২০ জনে নেমে এসেছে।
ভ্যাকসিনের অভাব কিছুটা মিটতে প্রথম ডোজ়ের পাশাপাশি সোমবার থেকে বাসিন্দাদের দ্বিতীয় ডোজ়ের গতি বাড়ানো হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক জানান, ১০ হাজার কো-ভ্যাকসিন হাতে রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ফলে রোজ কেন্দ্রগুলি থেকে ৩০০০ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ জেলায় প্রথম দফায় ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এখনও অবধি প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন প্রায় ৮৬ হাজার। বাকি প্রায় ১ লক্ষ বাসিন্দাকে কতদিনে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া যাবে তার সদুত্তর মেলেনি।