এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কাজ করার অভিযোগ করেন নার্সদের একাংশ। তদন্তে নেমে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানতে পেরেছে নার্সরাই গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই মতো শুক্রবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস নার্সিং ডাইরেক্টরেটের কাছে রিপোর্টে অভিযুক্ত অন্তত তিন নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
সেই সঙ্গে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মদ্যপ থাকার অভিযোগ উঠেছে সিসিটিভির ফুটেজে তার ভূমিকা স্পষ্ট বোঝা যায়নি। তবে অতীতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ বারবার উঠেছে। সেই মতো তাঁকে কার্শিয়াং হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর করতে বলা হয়েছে। নার্স শম্পা মণ্ডল বলেন, ‘‘নিজের স্বার্থে আমরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে যাইনি। তদন্ত কমিটিকেও বলেছি চিকিৎসক, যে ভাবে কথা বলেছেন, এ ভাবে কথা বলা যায় কি?’’ এ দিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের তরফে দেখানো ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে জরুরি বিভাগে গিয়ে অসুস্থ নার্স এবং তাঁর সতীর্থ নার্স চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। মিনিট চারেক চিকিৎসক তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্সেলিং করেছেন। এর পর তাঁরা চলে যান। কিছুক্ষণ পর লেবার ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্স এবং আরও কয়েক জন নার্স জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসককে বিব্রত করার চেষ্টা করেন। তাতে জরুরি বিভাগের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে অভিযোগ। নার্সদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুই মহিলা চিকিৎসক এবং এক ডেপুটি নার্সিং সুপারকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ে তা খতিয়ে দেখা হয়। কমিটির রিপোর্টে নার্সরাই গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানানো হয়।
১৫ অগস্ট রাতের ডিউটি থাকা এক নার্স অসুস্থ বলে নার্সিং ইনচার্জকে ফোন করেন। তখন তাঁকে হাসপাতালে ডেকে চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে দেখতে চাননি বলে অভিযোগ। নার্সরা চিকিৎসককে হেনস্থা করতে থাকেন বলে অভিযোগ। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক ভুল করে থাকলে অভিযোগ জানানো যেত। নার্সরা দল বেঁধে সুপারের ঘরে গিয়ে যেভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন, একমাত্র সংগঠনের তরফেই এ রকম করা যায়।