রাজপথে ডিএম। নিজস্ব চিত্র
চেয়ারম্যান নেই। প্রায় এক বছর ধরে বালুরঘাট পুরসভা প্রশাসকের পরিচালনায় চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বালুরঘাটে নাগরিক পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভার কাজে গতি আনতে নির্দেশ দেন। মানুষ পরিষেবা না পেলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলেও জানান। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার পরের দিন, বুধবার থেকেই প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে ওঠে।
বৃহস্পতিবার জেলাশাসক নিখিল নির্মল পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বালুরঘাট পুরসভা ভবনের সুবর্ণতটে উন্নয়নের কাজ নিয়ে বৈঠক করেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিকেলে শহরের রাস্তায় নেমে সাফাইয়ের কাজ সরেজমিনে দেখে ভাঙা নর্দমা দ্রুত সংস্কারের নির্দেশও দেন তিনি। এ দিন বালুরঘাট পুরসভার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে ‘বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’-এর সভাতেও হাজির হন জেলাশাসক। সভায় ছিলেন পুরপ্রশাসক তথা মহকুমাশাসক ইশা মুখোপাধ্যায় এবং অন্যতম দুই পুরপ্রশাসক অর্পিতা ঘোষ ও শঙ্কর চক্রবর্তী।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ বছরে ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে রাজ্য থেকে বালুরঘাট পুরসভা মোট ১ হাজার ৫৫৬টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৬৬টি বাড়ি তৈরির কাজ চলেছে। দু’বছর আগে পুরসভা থেকে শহরে ৫৫টি শৌচালয় তৈরি করা হয়। অভিযোগ, এখনও ওই শৌচালয়গুলি চালু হয়নি। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। ফলে অর্ধসমাপ্ত বাড়ি নিয়ে যেমন সমস্যায় পড়েছেন গরিব মানুষ, পাশাপাশি বাড়িতে পানীয় জল না পেয়ে নলের ঘোলা জলই নাগরিকদের ব্যবহার করে হচ্ছে।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নাগরিক পরিষেবার ওই কাজগুলি রূপায়ণে ইঞ্জিনিয়রদের কাজে গতি বাড়াতে বলেন পুরপ্রশাসক অর্পিতা ও শঙ্কর। পরে অর্পিতা বলেন, ‘‘ জটিলতা কাটিয়ে আটকে থাকা পুর উন্নয়নের কাজ শুরু হচ্ছে। অবিলম্বে ওই ৫৫টি শৌচালয় নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
বৈঠকের পরে জেলাশাসক শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালিপাড়া এলাকায় নর্দমার বেহাল অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘নর্দমা মেরামতি করে দ্রুত নোংরা জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।’’