তালিকায় নাম না থাকায় গাজলের ব্লক অফিসে জমায়েত উপভোক্তাদের। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ‘আবাস প্লাস’ তালিকার উপভোক্তা যাচাইয়ে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের একাংশ তোপ ও শাসানির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। এর কাছ থেকে রেহাই পেতে মালদহ জেলা জুড়ে বিক্ষোভও শুরু হচ্ছে। কর্মীদের ভরসা জোগাতে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই তালিকা যাচাইয়ে গেলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। সোমবার বিকেলে ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি পঞ্চায়েতের শিকলঘরা গ্রামে অন্তত দশটি বাড়িতে গিয়ে তালিকা যাচাই করেন জেলাশাসক। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা এলাকায় যেতে পারেন তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, আবাস প্লাস প্রকল্পে জেলায় প্রায় এক লক্ষ ৬৭ হাজার দাবিদারদের নামের তালিকা ২০১৮ সাল থেকে নথিভুক্ত হয়ে আছে। সে তালিকাই এখন যাচাই চলছে। জেলার ১৫টি ব্লকেই পঞ্চায়েত ভিত্তিক তালিকা ধরে ধরে সংশ্লিষ্ট দাবিদারদের বর্তমান বাড়ির ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিকা যাচাইয়ের কাজে গিয়ে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে ভরসা জোগাতে খোদ জেলাশাসকও তাঁদের সঙ্গে থেকে তালিকা যাচাইয়ের কাজে নেমেছেন। এ দিন বিকেলে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী, ইংরেজবাজার ব্লকের বিডিও সৌগত চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে অমৃতি পঞ্চায়েতের শিকলঘড়া গ্রামে তালিকা যাচাইয়ের কাজে যান জেলাশাসক। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও ছিলেন। প্রথমেই দুখিনী মণ্ডল নামে এক উপভোক্তার বাড়ি যান। ভাঙাচোরা ঘরের পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি, দুখিনীর সঙ্গে কথা বলেন নীতিন। বাড়ির দাওয়ায় বসে তালিকা যাচাইয়ের ফর্ম নিজেই পূরণ করেন। একে একে বীণা, ঊষা, নয়ন, অশোক, ক্ষিতীশ মণ্ডল, শেফালী ও উদয় কর্মকারদের মতো তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে তালিকা যাচাইয়ের কাজে ছিলেন নীতিন।
পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আবাস প্লাসের তালিকা যাচাইয়ের কাজে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভরসা দিতে আমি এবং জেলা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা তাঁদের সঙ্গে ঘুরছি। প্রশাসনিক নিয়ম মেনে তালিকা যাচাই হচ্ছে। কেউ কোনও ভাবে যদি তালিকা যাচাইয়ের কাজে বাধা দেন, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। স্বচ্ছ ভাবে তালিকা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’’