স্কুল খোলা নিয়ে চিন্তাই

কালীপুজোর শেষে ভাইফোঁটার পর আগামী ১০ নভেম্বর থেকেই খুলে যাচ্ছে এলাকার সমস্ত স্কুল। কিন্তু নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকের হাত ধরে দাড়িভিট স্কুল সেদিন খুলবে কিনা তা নিয়ে এলাকায় সংশয় রয়েই যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

কালীপুজোর শেষে ভাইফোঁটার পর আগামী ১০ নভেম্বর থেকেই খুলে যাচ্ছে এলাকার সমস্ত স্কুল। কিন্তু নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকের হাত ধরে দাড়িভিট স্কুল সেদিন খুলবে কিনা তা নিয়ে এলাকায় সংশয় রয়েই যাচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে নিহতের পরিবারের লোকেরা অনড়। চিন্তা বাড়ছে সমস্ত স্তরেই।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১০ নভেম্বর স্কুল খোলার বিষয় নিয়েই রবিবার থেকেই এলাকায় ঘোষণাও শুরু করেছে প্রশাসন। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার কথাও রয়েছে ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্রের। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় একটা মাইকিং করা হয়েছে। সেখানে প্রশাসনিক ইস্যু বাকি রেখেই অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তাঁরা স্কুল পুরোপুরি খোলার বিষয়ে সহযোগিতা করেন।’’ প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্কুল খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে নিহতদের কয়েকজন নিকটাত্মীয় গতকাল মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা স্কুল খোলার ব্যাপারে সহযোগিতা করার কথাও জানান। যদিও নিহতদের দুই পরিবারই মহকুমাশাসকের সঙ্গে এই সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেছিল।

এর আগে দাড়িভিট স্কুলের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরই নিহত রাজেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন মহকুমাশাসক। দ্রুত স্কুল খোলার বিষয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনাও চলাচ্ছেন তিনি বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুল খোলার বিষয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ ওই স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদেরও অনেকেই জানান, অবিলম্বে স্কুল না খুলতে পারলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়েই সমস্যা তৈরি হবে। আর এতে স্কুলেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ইসলামপুরের তৃণমূলের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement