GPS in Ambulances

কোথায়, কত অ্যাম্বুল্যান্স, জানতে বসবে ‘জিপিএস’

অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় কিছুদিন আগে ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিক অসুস্থ সুশীল ওরাওঁয়ের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:০৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অ্যাম্বুল্যান্স না-পেয়ে আলিপুরদুয়ারের ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকের মৃত্যুর জের। দিনে-রাতে যে কোনও সময়ে জেলার কোথায়, কতগুলি অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে, তার নজরদারিতে এ বার জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। সে সঙ্গে জেলার প্রতিটি ব্লক ধরে কোথায়, কতগুলি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে, যোগাযোগ নম্বর-সহ তার তালিকা স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি, থানা, সরকারি দফতরগুলিতেও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও মালিকদের নিয়ে মঙ্গলবার ‘ডুয়ার্সকন্যা’য় আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলায় মাতৃযান, নিশ্চয়যান-সহ অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে প্রায় ১২০টি। সে সবের চালক ও মালিকদের প্রত্যেককেই এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, জেলার যে কোনও এলাকার রোগীরা যাতে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পান। সে জন্যই প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে যাতে জিপিএস প্রযুক্তির ব্যবস্থা হয়, এ দিনের বৈঠকে সেটা বলা হয়েছে।’’ তিনি জানান, কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্সে জিপিএস-ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে জিপিএস প্রযুক্তি থাকলে, জেলার কোন এলাকায় কতগুলি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে, সেটা প্রশাসনও জানতে পারবে। পাশাপাশি, হাসপাতাল, থানা বা সরকারি দফতরেও নিজের নিজের এলাকায় থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের তালিকা যোগাযোগ নম্বর-সহ পাঠানো হবে। যাতে রোগী বা রোগীর আত্মীয়েরা সাহায্য পান।

অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় কিছুদিন আগে ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিক অসুস্থ সুশীল ওরাওঁয়ের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে আলিপুরদুয়ার জেলায়। সামনে আসে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার নানা ‘রোগ’। অভিযোগ, কোনও ‘রেট চার্ট’ না থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিতে ইচ্ছা মতো ভাড়া চান বেসরকারি চালকদের একাংশ। আরও অভিযোগ, রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিভিন্ন সময় যে হারে ভাড়া চাওয়া হয়, অনেক সময়ই তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাওয়া হয় রোগীদের পরিষেবায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুল্যান্সে মৃতদেহ নিয়ে যেতে। উপায় না থাকায় বেশিরভাগ সময় তাতেই রাজি হয়ে যেতে বাধ্য হন মৃতের পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ার রেট চার্ট নিয়েও এ দিনের বৈঠকে কেউ কেউ কথা তোলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “এ নিয়ে রাজ্যের কোনও নির্দেশিকা নেই। আর সে জন্যই বিষয়টি নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা বা সিদ্ধান্তের কোনও সুযোগ ছিল না।” তবে অ্যাম্বুল্যান্স চালক বা মালিকদের অনেকেই রোগীর আত্মীয়দের থেকে বেশি ভাড়া চাইবেন না বলে এ দিনের বৈঠকে কথা দিয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের ওই কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement