চা শ্রমিক। —নিজস্ব চিত্র।
বোনাস নিয়ে অসন্তোষ ও বিক্ষোভের জেরে পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল আরও দু’টি চা বাগান। এ বার ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কাঁঠালগুড়ি এবং চামুর্চি চা বাগান ছেড়ে চলে গেলেন মালিক পক্ষ। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্ধ হয়ে গেল চারটি চা বাগান। ফলে, কর্মহীন কয়েক হাজার শ্রমিক।
বেশ কিছু দিন থেকেই পুজোর বোনাস নিয়ে বিভিন্ন বাগানে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। চা শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, ২০ শতাংশ বোনাসের। মালিক পক্ষ তা মানতে নারাজ। যার জেরে, দফায়-দফায় গেট-মিটিং, বিক্ষোভ চলছিল বিভিন্ন বাগানে। শুক্রবারও বন্ধ হয়ে যায় মাল মহকুমার দু’টি চা বাগান আর শনিবার সকালে বন্ধ হয়ে গেল ধূপগুড়ি মহকুমার বানারহাট ব্লকের দু’টি চা বাগান। চামুর্চি চা বাগানের স্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা ১,০৭৪। রাতের অন্ধকারে মালিকপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ায়, সঙ্কটে পড়েন তাঁরা।
এ দিকে, বন্ধ রায়মাটাং চা বাগান নিয়ে আয়োজিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে গেল শনিবার। শনিবার শিলিগুড়ি শ্রমিক ভবনে কালচিনি ব্লকের রায়মাটাং ও মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগান নিয়ে বৈঠক হয়। বোনাস নিয়ে শ্রমিক-অসন্তোষের জেরে, শুক্রবার থেকে বন্ধ মুজনাই চা বাগান এবং গত বুধবার থেকে বন্ধ কালচিনির রায়মাটাং চা বাগান। এ দিন শ্রমিক ভবনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রায়মাটাং চা বাগান কর্তৃপক্ষ না আসায় বৈঠক ভেস্তে যায়।
তবে আজ, রবিবার থেকে খুলে যাচ্ছে মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগান। মালিকপক্ষের আশ্বাস, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে বোনাস। এ দিন মুজনাই চা বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় রবিবার থেকে বাগান খুলে দেওয়ার। সহ শ্রম আধিকারিক আর্থার হোরো বলেন, ‘‘চুক্তি অনুযায়ী ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। রায়মাটাং চা বাগান নিয়ে এক-দু’দিনের মধ্যে ফের বৈঠক ডাকা হবে।’’ এ ছাড়া, এ দিন কালচিনি চা বাগানের বোনাস নিয়েও বৈঠক হয়। এই বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রবিবার আলিপুরদুয়ারে ফের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, এ দিনও কালচিনি ব্লকের ডিমা, দলসিংপাড়া ও তোর্সা চা বাগানে শ্রমিক আন্দোলন চলে।