জোর মসুশুমের আগে পাহাড়ের পর্যটন ঘিরে কিছুটা অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে
দার্জিলিঙের টাইগার হিলে যাতায়াতের জন্য পুলিশের দেওয়া পর্যটকদের গাড়ির কুপন নিয়ে জটিলতা চলছেই। টাইগার হিল নিয়ে নতুন করে বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য দার্জিলিং পুলিশ, প্রশাসন বা জিটিএকে আজ, শুক্রবার অব্দি সময় দিয়ে রেখেছে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের যৌথ মঞ্চ। বুধবার দার্জিলিংয়ে একটি হোটেলে পর্যটন ব্যবসায়ী, গাড়ির মালিক, হোটেল মালিকদের সংগঠনগুলি আলোচনা করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি তাঁদের কথা না শোনা হয়, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। রবিবারের মধ্যে তাঁরা এই নিয়ে বৈঠক করবেন। এই অবস্থায় পুজোর মসুশুমের আগে পাহাড়ের পর্যটন ঘিরে কিছুটা অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
পর্যটন সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত অব্দি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে নতুন করে কোনও বার্তা বা বৈঠকের দিনক্ষণ দেওয়া হয়নি। যদিও দার্জিলিঙের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সমস্যা, আপত্তির কথা জানি। এই সপ্তাহের শেষে বৈঠক করার প্রস্তুতি চলছে। সকলপক্ষকে ঠিক সময়ে দিনক্ষণ, সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
সরকারি সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলা পুলিশের তৈরি ওই কুপনের নিয়ম নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা চলছে। দুই পক্ষের কাছেই যা গ্রহণযোগ্য হবে, এমন পথ বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে রোজ সকালে পুলিশ ৩০০ গাড়ির জন্য টাইগার হিলে যাওয়ার জন্য কুপন দিচ্ছে। আগের দিন তা ট্রাফিক পুলিশ সদর দফতর থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সকাল বাদে দিনের বাকি সময় অবশ্য টাইগার হিল যেতে কোনও কুপন লাগছে না। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকালে সূর্যোদয় দর্শনের সময় যানজটের কথা বলে কড়াকড়ি করছে পুলিশ। তিনশোর বেশি গাড়িকে ছাড়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু সংখ্যা নিয়েই আপত্তি চলছে।
ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। দার্জিলিংয়ে পুলিশ সুপারও বৈঠক করছেন। তাতেও জট কাটেনি। শেষে, মন্ত্রী জেলাশাসককে উদ্যোগী হয়ে পর্যটন সংগঠনগুলিকে নিয়ে বসতে বলেছেন। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দার্জিলিংয়ে দু’বার, শিলিগুড়িতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে একবার বৈঠক হয়। শেষ বৈঠক হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। তার পর থেকে পুলিশ-প্রশাসন কিছুই জানায়নি।