বক্তা: চূড়াভাণ্ডারে জনসভায় দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এই অভিযোগ মাঝেমধ্যেই শোনা যায় রাজ্যপালের মুখে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এসেও একই অভিযোগ তোলেন। উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই অভিযোগ করেছেন। সেই সুরে সুর মিলিয়ে মঙ্গলবার, জলপাইগুড়ির চূড়াভান্ডারের জনসভায় দাঁড়িয়ে ভোটভিক্ষে করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শোনালেন ‘পরিবর্তন চাই’ স্লোগান, বললেন, ‘‘এ বার রাজ্যে উন্নয়ন করতে বিজেপিকে সুযোগ দিন।’’ আইনশৃঙ্খলা অবনতির সঙ্গে দিলীপ নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গও টেনেছেন। দলের একাংশের দাবি অমিত শাহ ভোট প্রচারের যে লাইন ছকে দিয়েছিলেন, সেই পথে পা রেখে এগোতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপি।
গত বছর চূড়াভান্ডারে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সভায় ভিড় উপচে পড়ে। এ দিন দলের রাজ্য সভাপতির সভার জন্য যে মাঠ বিজেপি বেছেছিল সেটি নেহাতই ছোট। মাঠের মাঝে মঞ্চ করে তাও ছোট করে দেওয়া হয়েছিল। সেই অংশটুকুও এ দিন পুরো ভরেনি। দিলীপ ঘোষ সভায় আসার পরে ভিড় বাড়ে ঠিকই কিন্তু তিনি বক্তৃতা শুরু করতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশকে ফিরে যেতে দেখা যায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, চড়া রোদে অনেকে ছায়ার খোঁজে যান। এক নেতার মন্তব্য, ‘‘সংগঠনের কাজ নিয়মিত দেখভাল করতে হবে।’’
এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রায় ২৬ মিনিটের বক্তব্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দুর্নীতি প্রসঙ্গ এসেছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ তোলেন দিলীপ। আমফান দুর্নীতি, সরকারি ঘর, শৌচালয় বিলির টাকা থেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগও তোলেন। দিলীপ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের টাকা চুরি করে এই পরিবর্তন এসেছে।’’জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, ‘‘ফাঁকা মাঠে এসে কে, কী বললেন তা নিয়ে চিন্তা করছি না। ওঁরা যা বলছে তার প্রমাণ দিতে পারবেন? রাজ্যের মানুষ মিথ্যেচারের জবাব ভোটেই দেবেন।’’