রোড-শো: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা জনগণের উদ্দেশে ফুল ছুড়ছেন। ছবি: স্বরূপ সাহা।
কথায় বলে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি।’ তাই বাংলায় এসে বাঙালিয়ানার আবেগকে উস্কে দিতে শনিবার দুপুরে মালদহের সাহাপুরে কৃষকদের সহভোজে মাছের স্টল ঘুরে দেখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার নড্ডাকে সেই স্টলে কি কি মাছ রয়েছে, এক এক করে তার নামও জানালেন।
শুধু তাই নয়, ‘বাঙালি পরিবারের জামাই’ পরিচয় দিতে এ দিন সহভোজ ও দলীয় রোড শো-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলায় বেশ কয়েকবার কথাও বললেন তিনি। এমনকি, রোড শো শেষে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। মালদহে নড্ডা এসে বাঙালিয়ানাকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, এসব করে বাঙালির মন জয় করা যাবে না।
এ দিন মালদহে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেলিকপ্টারে মালদহ বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে চলে যান মাধবনগরে থাকা সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ সাব ট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রে। এরপর সাহাপুরের ডিস্কো মোড়ে কৃষকদের সঙ্গে সহভোজ করেন নড্ডা। সেখানে আনাজ ও মাছের স্টল দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে যান সেই মাছের স্টলে। সেখানে জ্যান্ত রুই-কাতলা মাছের পাশাপাশি দেশীয় কই, শিঙি মাছও ছিল। সেগুলির নাম জানতে চান নড্ডা।
দিলীপ তাকে সেই মাছগুলির নাম বলে বলে চেনান। সহভোজ চলাকালীন পাশে বসা দুই কৃষকের সঙ্গে হিন্দি ও বাংলাতে কথা বলেন নড্ডা। এমনকি, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় একাধিকবার বাংলায় বক্তব্য রাখেন। একইভাবে ইংরেজবাজার শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে রোড-শো শেষে বেশ কয়েকবার বাংলায় কথা বলেন। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় এসে বাঙালিয়ানার আবেগকে উস্কে দিতেই এই কৌশল নড্ডার। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর অবশ্য বলেন, ‘‘বহিরাগত কেউ এসে যতই বাঙালি সাজুক বা বাঙালিয়ানা ফলানোর চেষ্টা করুক না কেন মালদহের মানুষ এসব সস্তার রাজনীতি মেনে নেবে না। এ সব লোক দেখানো ছাড়া কিছু নয়।’’