হাসপাতালে চিকিৎধীন ধূপগুড়ির সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী মাধবী রায় বসুনিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় কলেজের ছাদ থেকে থেকে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর পর প্রায় একই কাণ্ড ধূপগুড়িতে। সহপাঠীদের সঙ্গে কলেজের তিনতলার ছাদে বসে থাকার সময় বুধবার পড়ে গেলেন ধূপগুড়ির এক ছাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে অন্যত্র রেফার করা হয়। এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মাধবী রায় বসুনিয়া নামে ওই আহত ছাত্রী ধূপগুড়ির সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে কলা বিভাগের প্রথম সেমেস্টারে পড়েন। কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজের তিনতলার ছাদে অনেকেই বসে থাকেন। বুধবার সহপাঠীদের সঙ্গে সেখানে বসে ছিলেন মাধবী। সে সময় তাঁর হাতের একটি কাগজ ছাদের কার্নিশ পড়ে যায়। কাগজটি তুলতে গিয়েই আচমকাই নীচে পড়ে যান তিনি। যদিও এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা থাকতে পারে বলে পাল্টা দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এই ঘটনার পর কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যে জায়গা থেকে মাধবী পড়ে গিয়েছেন, সেখানে কোনও রেলিং বা গ্রিল ছিল না। সে জন্যই এ বিপর্যয় বলে দাবি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের।
কিছু দিন আগেই রাজস্থানের কোটায় পড়তে যাওয়া ধূপগুড়ির এক ছাত্র সেখানকার কলেজের ছ’তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ধূপগুড়ির এই কলেজে প্রায় একই ধরনের ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবারের ঘটনার সময় বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী নীচে হেঁটে যাচ্ছিলেন। অল্পের জন্য তাঁদের উপরে পড়েননি মাধবী। আহত অবস্থায় তাঁকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান কলেজের অন্য পড়ুয়া এবং কর্মচারীরা। তবে মাধবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি রেফার করা হয়েছে।
মাধবী ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন কি না অন্য কোনও ভাবে পড়ে গিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মাধবীর পরিবারের সদস্যরা।