ক্ষতিগ্রস্ত: প্রবল ঝড়ে ফের ঘর ভাঙল শনিবার। নিজস্ব চিত্র
মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল মালদহ জেলার একাংশ। এখনও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা নতুন করে তৈরি করতে পারেননি বাড়ি ঘর। এর মধ্যে শনিবার রাতে প্রবল ঝড়ে ফের ক্ষতির মুখে পড়লেন জেলার মানিকচক, রতুয়া, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজল ও বামনগোলা ব্লকের আরও প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার।
এ দিন ঝড়, বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে চাষেও। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমের। মাথায় হাত পড়েছে ওই এলাকার আম চাষিদের। শনিবারের ঝড় বৃষ্টির ফলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই ব্লকগুলোতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিপর্যস্ত জনজীবনও।
ত্রাণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যেরা। যদিও প্রশাসনের দাবি শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ পাঠানো শুরু করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক তন্ময়কুমার চক্রবতী। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ত্রিপল ও শুকনো খাওয়ার বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিওদের।’’
২৪ মার্চের ঝড়ে জেলার গাজল, বামনগোলা, হবিবপুর, রতুয়া এবং চাঁচল-২ ব্লকের এক হাজার কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। একই সঙ্গে হাজার হাজার হেক্টর জমির ভুট্টা, গম, আলু এবং আমের ক্ষতি হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রিপল দেওয়া হলেও পাকা বাড়ি মেলেনি। ফলে এখনও ত্রিপলের নিচে বসবাস করছেন ওই পরিবারগুলো।
শনিবারের রাত ন’টা নাগাদের ঝ়ড়ে ফের মানিকচক, গাজল, বামনগোলা, চাঁচল, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজল ও বামনগোলায় ভেঙে যায় পাঁচ শতাধিক কাঁচা বাড়ি। হয় শিলাবৃষ্টিও। ঝ়ড়ের দাপটে ়ঘরের টিনের চালা উড়ে গিয়ে মাঠে বা জমিতে পড়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির আমের ক্ষতি হয়েছে।
এ দিন মানিকচকের নারায়াণপুর, মথুরাপুর, লাল বাথানি গ্রামে যান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তাঁকে দেখে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গীতা মণ্ডল, নরেশ চৌধুরী, এজাজুল শেখ সহ অন্য বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে।’’ রবিবার দুপুরের পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। দ্রত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন গৌরচন্দ্রবাবু।