জয়রাম রমেশ। Sourced by the ABP
রাহুল গান্ধীর ‘ন্যায় যাত্রা’য় জলপাইগুড়িতে স্বতঃস্ফূর্ত উপচে পড়া ভিড় এবং উন্মাদনার ‘ঘোর’ কাটিয়ে উঠে জেলা কংগ্রেস দ্রুত বুথভিত্তিক সম্মেলন শুরু করতে চলেছে। সূত্রের খবর, প্রতিটি বুথের সম্মেলনে প্রস্তাব নেওয়া হবে, আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কিছুতেই জোট নয়। এমন প্রস্তাবের কারণ, তৃণমূল নিয়ে হাইকমান্ডের ‘জয়রাম লাইনে’র আতঙ্ক, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’র উন্মাদনার সঙ্গেই যে ‘ধাক্কা’ জেলা কংগ্রেসের লেগেছে। রাহুলের ‘যাত্রা’র আগে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস অফিসে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেই এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ‘গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ’ বলে দাবি করেছিলেন। এখন বুথ সম্মেলনে জেলা কংগ্রেস ‘তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়’— এই প্রস্তাব নিতে চাইছে।
জলপাইগুড়িতে রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’র ভিড় দেখে প্রদেশ কংগ্রেসও জেলা কমিটির পিঠ চাপড়েছে। যদিও জেলা নেতৃত্বের চিন্তা, এই ভিড়কে ভোটে নিয়ে যাওয়া যাবে তো! প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “মানুষ অভিনেতাদেরও দেখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে, দেখা হয়ে গেলে ভুলে যায়। তেমনটা হলে চলবে না।”
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ন্যায় যাত্রায় শামিল হওয়ার জন্য জলপাইগুড়িবাসীকে কংগ্রেসের ধন্যবাদ। রাহুল গান্ধী যে উন্মাদনা তৈরি করে দিয়েছেন, সেই আবহেই আমরা বুথ স্তরে সম্মেলন করব। সেখানে বুথে সংগঠন মজবুত করা এবং আগামী লোকসভা ভোট নিয়ে দলের প্রস্তাব নেওয়া হবে।” গত রবিবারই ‘ন্যায় যাত্রা’ চলাকালীন জয়রামের ‘লাইনে’র বিরোধিতা করেছিল জেলা কংগ্রেস। সেই বিরোধিতাকে দলের নথিতে দলিল করে রাখার কৌশল এখন জেলা কংগ্রেসের। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “কংগ্রেস একাই লড়তে পারে। কংগ্রেসের প্রতি যারা হিংস্র তাদের সঙ্গে জোটে গেলে কর্মীরা ভোট করবেন কী করে!”