প্রতীকী ছবি।
গত বছর করেনার মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ খুব একটা দেখা যায়নি। তবে এ বছর চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে সেই আশঙ্কা। কারণ, জুন পড়তেই এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় সাতজন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জুন থেকেই সাধারণত ডেঙ্গি প্রকোপ বাড়ে। চিন্তা তাই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষা শুরু হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকছে। তার উপর দিনভর গরমে ডেঙ্গির বাহক মশার লার্ভা ফোটার উপযুক্ত পরিবেশ মিলছে। সে কারণেই জুনে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুর দফতর ভিডিয়ো কনফারেন্সে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছেন। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু জ্বরের রোগীও মিলেছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘এবছর এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় সাত জনের ডেঙ্গি হয়েছে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় আক্রান্তও রয়েছেন।’’
পুরসভারই একটি সূত্রে খবর, গত মার্চে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় একই সঙ্গে করোনা এবং ডেঙ্গির সংক্রমণও মিলেছে। তবে তখনও সেভাবে ডেঙ্গির সংক্রমণ ছিল না। তার পরেই শহর এবং লাগোয়া এলাকায় দুই একটি করে বাড়ছে বলে পুরসভারই একটি সূত্রে খবর। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ মিলেছে। সম্প্রতি ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের খবর মেলে। পরে দেখা যায়, সেটি পুর এলাকা লাগোয়া পঞ্চায়েতের অংশে। তবে শহর এবং আশেপাশে দুই একটি করে ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে শুরু করায় সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
তবে পুরসভার তরফে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ জোর কদমে শুরু হয়েছে। মে মাস থেকে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। মাসে দুই বার বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করার কথা। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে মে মাসে এক বারই করা হয়েছে। জুনে দুই দফায় সমীক্ষাই হবে বলে জানানো হয়েছে।
বছর কয়েক আগে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নেয়। মৃত্যুও ঘটে। পরপর কয়েক বছর ডেঙ্গি চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি শহরে। শ মাটিগাড়া ব্লকেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয়। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি সে ভাবে না মেলায় কিছুটা স্বস্তিতে ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে এ বার পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে।