প্রতীকী ছবি।
প্রশাসন এখন ব্যস্ত করোনা রুখতে, তার মধ্যেই নজর দিতে হচ্ছে ডেঙ্গি সচেতনতার দিকেও। অন্য বছরগুলির এই সময়টা পুরোদমে চলে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ। সেই কাজে পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজই ধাক্কা খাচ্ছে। প্রতিদিনই কোনও না কোন এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে। সেই এলাকাগুলোয় যেতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার ফলে ডেঙ্গি পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের হাতে আসছে না বলেই দাবি দফতরের একাংশের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সূত্রের খবর, জুলাইয়ের মাঝামাঝি জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় একজনের ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা পড়েছিল । যদিও ওই রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তালিকায় নেই বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। তবুও কাজে একটুও ঢিলে দিতে চায় না প্রশাসন। সোমবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ডেঙ্গি এবং করোনা মোকাবিলার মূল্যায়নে বৈঠক হয়। সেখানে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজেও বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করতে নির্দেশে দিয়েছেন জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি।
সূত্রের খবর, জেলার সব ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার সব চা বাগান এবং বন বস্তি এলাকায় ডেঙ্গি সচেতনতার কাজে গতি বৃদ্ধির কথাও জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে। ডেঙ্গির লার্ভা নিকেশ করা এবং বদ্ধ জলাশয়গুলির প্রতিও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, ‘‘জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি ভয়াবহ চেহারা নেয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আমরা সব দিকেই নজর রাখছি।’’
এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে করোনা আক্রান্তরা বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন এখন থেকে সেই বাড়ির সামনে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হবে। জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্র কুমার ঈশ্বরারী বলেন, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতেই এমন উদ্যোগ।’’ করোনা এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে জেলার স্বাস্থ্য কর্মীরা যথেষ্ট ভাল কাজ করছেন বলে এ দিন জানান তিনি।