উত্তরবঙ্গের চার জেলায় ধান কেনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ এ দিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক কর্তা এবং সমবায় ও রাইস মিল কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। জলপাইগুড়িতে এই বৈঠকে ধান কেনায় গতি বাড়াতে চার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের শুক্রবারের মধ্যে সমবায় ও রাইস মিল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন৷
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এই চার জেলায় এ বছর প্রায় সতেরো লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে৷ যার মধ্যে সরকারি সহায়ক মূল্যে পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গে এই চার জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা সে ভাবে না এগোনোয় এ দিন জলপাইগুড়িতে ছুটে আসেন খাদ্যমন্ত্রী৷ তার সঙ্গে ছিলেন খাদ্য দফতরের প্রধান সচিব অনিল ভার্মা ও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার সহ অন্যান্য কর্তারা৷
দুপুরের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী ও তাঁর দফতরের কর্তারা জানতে পারেন চার জেলার বেশিরভাগ সমবায়ই এখনও ধান কেনার কাজে নামেনি৷ একই অবস্থা রাইস মিলগুলিরও৷ খাদ্য দফতরের কর্তারা সমবায়গুলিকে রাইস মিলের গেটে ধান কেনার কথা বললেও সেটাও এই চার জেলার বেশিরভাগ জায়গাতেই হচ্ছে না৷ এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী৷ কেন এমনটা হচ্ছে তা চার জেলার প্রশাসনিক কর্তা ও এআরসিএস-দের কাছে জানতে চান। কিন্তু তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মন্ত্রী৷ এরপরই চার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে জেলার সমস্ত সমবায় ও রাইস মিল কর্তাদের নিয়ে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এআরসিএস-দের আরও সক্রিয় হতে হবে৷’’
বৈঠক থেকে বেরিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গতবার সমবায়গুলি নিজেদের হাতে টাকা পেয়েছিল৷ কিন্তু এ বার তা হচ্ছে না৷ সেজন্যই একটু সমস্যা হচ্ছে৷ তবে আমরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই সমবায়গুলি ধান কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবে৷’’