শুরু হল বালুরঘাট পুরসভার কাজ। নিজস্ব চিত্র
সরকারি নির্দেশে লকডাউনের বিধি শিথিল হলেও সোমবার খুলল না গৌড়বঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র— মালদহের আদিনা ডিয়ার পার্ক এবং উত্তর দিনাজপুরের কুলিক পক্ষিনিবাস। গৌড় ও আদিনায় পর্যটনস্থল খোলা থাকলেও এ দিন পর্যটকের দেখা মেলেনি। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হোটেল ও রেস্তরাঁ খুললেও তেমন ভিড় ছিল না। মালদহে এ দিন বড় হোটেল খোলেনি। কিছু রেস্তরাঁ খুললেও লোকের দেখা তেমন মেলেনি।
মালদহ জেলা বন দফতরের এডিএফও সীতাংশুকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘আদিনা ডিয়ার পার্কটি জ়ু অথরিটির নিয়ন্ত্রণে। পার্ক খোলার বিষয়ে সেখান থেকে নির্দেশ আসেনি। তা-ই এ দিন ওই পার্ক বন্ধ রয়েছে।’’
উত্তর দিনাজপুরের কুলিকে ইতিমধ্যেই এসেছে পরিযায়ী পাখিরা। কিন্তু এ দিনও খোলেনি তার দরজা। পক্ষিনিবাসের রেঞ্জ অফিসার প্রমিকা লামার বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ পেলেই দরজা খুলে দেওয়া হবে।
মালদহে হোটেল মালিক সংগঠনের বক্তব্য, হোটেল খোলা-বন্ধের সময় নিয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ সোমবার দুপুর পর্যন্ত না পাওয়ায় বড় হোটেলগুলি খোলা যায়নি। তবে ছোট ছোট হোটেল ও রেস্তরাঁ খুলেছে। কিন্তু ভিড় ছিল না। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে মালদহে রাত ১০টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ খোলা থাকবে। হোটেল খুলতে অসুবিধা নেই।’’
উত্তর দিনাজপুরে বেশির ভাগ হোটেল ও রেস্তরাঁ খুলে যায়। তবে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি। রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকার একটি রেস্তরাঁর মালিক বোধিসত্ত্ব মজুমদারের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মোট আসনের ৬০ শতাংশ আসনে ক্রেতাদের বসানো যাবে। হোটেল ও রেস্তরাঁয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নিয়মিত স্যানিটাইজ় করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কিন্তু ৬০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে রেস্তোরাঁ চালালে লোকসানের আশঙ্কা থাকছে।’’ দক্ষিণ দিনাজপুরে অবশ্য হোটেল ও রেস্তরাঁ খোলা ছিল। তবে ভিড় ছিল না। এ দিন বালুরঘাট শহরের রেস্তরাঁ সমিতির প্রতিনিধি গোপাল সরকার জানান, ‘‘রেস্তরাঁ ও খাবারের হোটেল খুলেছে। তবে বিক্রি কেমন হবে তা স্পষ্ট করে বলা যাবে না।’’