চলছে ওই অনুষ্ঠান। দাঁড়িয়ে লোকজন। তা নিয়ে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন এখনও ওঠেনি। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এখনও কার্যকর রয়েছে শিলিগুড়িতে। এর মধ্যেই পুরবোর্ডে ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছরের পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করে বিতর্কে জড়াল সিপিএম। রবিবার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণতীর্থ ক্লাবের মাঠে ওই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ওই ওয়ার্ডের সাফাই কর্মীদের সংবর্ধনা দিতে হাজির হন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রধান তথা বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে অন্তত দেড়শোজন হাজির হন বলে অভিযোগ। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিদায়ী মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ্য) তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শঙ্কর ঘোষ। রবিবার নতুন লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গেই যে কোনও রকম রাজনৈতিক জমায়েত, সমাবেশ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
রবিবার ছিল বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরবোর্ডের মেয়াদ পূরণের শেষ দিন। এ দিনের এই অনুষ্ঠান ঘিরে নানা আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বিধিও মানা হয়নি এই অনুষ্ঠানে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘যিনি শহরের প্রধান এবং যিনি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই যদি এরকম অবিবেচক হন তা হাস্যকর। অশোকবাবুর সংবর্ধনা নেওয়ার ইচ্ছে ছিল আমাদের জানালে এক গাড়ি ফুল ওঁর বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম।’’ যদিও তৃণমূলের দাবি মানতে চাননি ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শঙ্কর ঘোষ। তাঁর দাবি, এ দিন বিকেলে যে অনুষ্ঠানে সাফাইকর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান পরেও হতে পারত আরও বড় করে। যাঁরা করোনা ঠেকাতে লড়ছেন, তাঁদেরকে সংবর্ধনা দেওয়াটা একটা স্বীকৃতি। বর্ষপূর্তি বড় কথা নয়।’’
দার্জিলিং যুব তৃণমূল সভাপতি বিকাশ সরকার ওই এলাকায় থাকেন। তাঁর দাবি, এই জমায়েতের ফলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আতঙ্কিত হয়ে এলাকাবাসী তাঁকে ফোন করেন। তিনি তখন শিলিগুড়ি থানায় জানান। শিলিগুড়ি থানা থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয় এলাকায়। যদিও সেই সময় এলাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (সদর) নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, ‘‘এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এ বিষয়ে অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জবাব মেলেনি। সিপিএম সূত্রে দাবি, এরকম অনেক জমায়েত এবং রক্তদান শিবির তৃণমূল নেতারা করছেন যেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধিটুকুও বজায় থাকছে না।