দেবশ্রী চৌধুরী। —ফাইল চিত্র
গাঁধী সংকল্প যাত্রার আয়োজন ছিল শহরেই। অথচ শহরেরই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সাড়া পড়ল না। বাইরের কিছু কর্মী এসেছিলেন। তাঁরা কিছুটা পথ হেঁটে ফিরে গেলেন। আর যাঁকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন, রায়গঞ্জের সেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাঝপথে নিজের গাড়িতে উঠে চলে গেলেন। শেষপর্যন্ত হাতে গোনা নেতা-কর্মীরাই যাত্রা শেষ করতে বাধ্য হলেন। শনিবার রায়গঞ্জ শহরে এ ভাবেই বিজেপির সংকল্প যাত্রা হোঁচট খেল।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা সংকল্প যাত্রার জেলা প্রমুখ বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অবশ্য বক্তব্য, এ দিন রায়গঞ্জ শহর ও সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি ধাপে সংকল্প যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কারণে, যাত্রায় শহর ও পঞ্চায়েত এলাকার দলীয় কর্মীরা সামিল হয়েছিলেন। দূরত্বের কারণেই কিছু কর্মী মাঝপথ থেকে ফিরে গিয়েছেন। শনিবার শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকার কারণে মন্ত্রী সংকল্প যাত্রার পুরো রাস্তায় হাঁটেননি। দেবশ্রীর অবশ্য দাবি, এ দিনের সংকল্প যাত্রায় শহর ও পঞ্চায়েত এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছিলেন। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই তিনি সংকল্প যাত্রায় হেঁটেছেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জের চণ্ডীতলা থেকে দেবশ্রীর নেতৃত্বে যাত্রা শুরু হয়। শহরের সুদর্শনপুর, শিলিগুড়ি মোড়, সুপার মার্কেট, মোহনবাটী, ঘড়ি মোড়, বকুলতলা, বিবেকানন্দ মোড় বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাপদুয়ার এলাকায় গিয়ে শেষ হয় যাত্রা। চণ্ডীতলা থেকে আয়োজিত ওই যাত্রায় কয়েকশো বিজেপির কর্মী সামিল হন। বেশিরভাগ কর্মী রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি-১ ও কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। দলীয় নেতারা ছাড়া রায়গঞ্জ শহরের বিজেপির কর্মীদের ওই সংকল্প যাত্রায় হাঁটতে দেখা যায়নি। যাত্রা ঘড়ি মোড়ে পৌঁছতেই দেবশ্রী নিজের গাড়িতে চেপে চাপদুয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। এরপর যাত্রা শহরের বিবেকানন্দ মোড় এলাকায় পৌঁছতেই বেশিরভাগ দলীয় কর্মী চাপদুয়ারের উদ্দেশ্যে না গিয়ে ফিরে যান।
শেষপর্যন্ত হাতে গোনা দলীয় নেতা- কর্মীদের নিয়ে চাপদুয়ার পর্যন্ত যাত্রা শেষ করে বিজেপি। দলের এক জেলা নেতার দাবি, বিবেকানন্দ মোড় থেকে চাপদুয়ার পর্যন্ত দেবশ্রীর সংকল্প যাত্রায় হাঁটার কথা ছিল। কিন্তু লোক না হওয়ায় দেবশ্রী বিরক্ত হয়ে এক দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে সুভাষগঞ্জ থেকে চাপদুয়ার পর্যন্ত একাধিক স্টেশনারি ও চায়ের দোকানে গিয়ে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জনসংযোগের চেষ্টা করেন।