প্রতীকী ছবি।
দ্বিতীয় ঢেউও পার করল ‘সেঞ্চুরি।’ করোনা সংক্রমণ যেমন বাড়ছে, তেমনই একের পর এক প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটছে মালদহে। স্কুল শিক্ষিকার পর মঙ্গলবার রাতে করোনা সংক্রমিত হয়ে মালদহ মেডিক্যালে মৃত্যু হল এক রেলকর্মীরও। ভোটের মুখে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের। তাঁদের দাবি, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতার ছবি উধাও মালদহে। সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেই দুষেছেন সাধারণ মানুষ।
মালদহের চিন্তামণি গার্লস স্কুলের এক শিক্ষিকা করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যান। এ দিন মালদহ মেডিক্যালে শহরের বাসিন্দা এক রেলকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তি ভর্তি হয়েছিলেন। এদিন রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা। তিনি বলেন, “জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সেই সঙ্গে করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।” কোভিড বিভাগে আরও ১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে, করোনার জন্য গৌর মহাবিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৭০০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০১ জন। সেই তালিকায় রয়েছেন হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডীর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাও। সম্প্রতি, দ্বিতীয় বারের জন্য আক্রান্ত হন মালদহের মহকুমাশাসক (সদর) সুরেশচন্দ্র রানোও। চলতি সপ্তাহেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের দাবি, সংক্রমিত রাজ্যগুলি থেকে শ্রমিকেরা জেলায় ফিরে আসছেন। এ ছাড়া জেলাতে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ছবিও উধাও। মালদহ মেডিক্যালের চিকিৎসক পীযুষকান্তি মণ্ডল বলেন, “দ্বিতীয় ঢেউ-এ মাস্ক পরতে হবে। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব। না হলে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, টিকা দানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো হচ্ছে। তাই স্কুলে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের অভিভাবকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভোট। মালদহে সপ্তম এবং অষ্টম দফায় ভোটের প্রচার চলছে, আগামীতে আরও বাড়বে। সচেতন না হলে সংক্রমণ ছড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।