আনা হয়েছে মৃতদের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
দেহ ফিরল পরিযায়ী শ্রমিকদের। মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে ক্রেন দুর্ঘটনায় জলপাইগুড়ির চার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে সকলের দেহ এসে পৌঁছেছে। এ দিনই সৎকারও হয়েছে দেহের।
শুক্রবার সকালে দেহ সৎকারের পরে, তিন রাত্রির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছিল ময়নাগুড়ির চারেরবাড়ির বাসিন্দা মৃত দুই ভাই সুব্রত সরকার এবং বলরাম সরকারের। তখনই রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণ নিয়ে পৌঁছন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এবং এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। গৌতম দেব পরিবারের এক সদস্যের হাতে চেক তুলে দিয়ে বলেন, “যাঁরা চলে গেলেন, তাঁদের তো আর ফিরিয়ে দিতে পারব না। রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণটুকু রাখুন।” এ দিন দুপুরে প্রথমে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডাউকিমারিতে মৃত শ্রমিক গণেশ রায় এবং তার পরে প্রদীপ রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন গৌতম দেবরা।
ধূপগুড়ি-ময়নাগুড়ির তিন গ্রাম জুড়ে শোকের আবহ। এ দিন দেহ ফিরে আসার পরে, গ্রামের বাসিন্দারা ভিড় করেছিলেন। মৃতদের পরিচিত বন্ধু যাঁরা আশেপাশের অর্থাৎ সিকিম, নেপাল, ভূচানে কাজ করতে গিয়েছেন তাঁরাও ফিরে এসেছিলেন। গ্রামের ছেলেদের শেষ দেখতে জ ড়ো হওয়া ভিড়ের মুখে মুখে ঘুরেছে প্রশ্ন, আর কত দিন কাজের খোঁজে গ্রামের ছেলেদের বাইরে যেতে হবে!
সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তৃণমূলের সদ্য জয়ী জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা ছিলেন। প্রশাসনের তরফেই পরিযায়ীদের দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঠাণের ঘটনার আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাতেও ময়নাগুড়ির এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। সে স্মৃতিও এ দিন ফিরে এসেছে গ্রামে। ময়নাগুড়িতে যখন দুই ভাইয়ের দেহ পৌঁছয় তখন রাত আড়াইটে। গভীর রাতেই অনেক লোক জড়ো হয়েছিল।