কয়েক দিন আগে, একটি ক্যাঙারুর মৃত্যু হয় শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন আগে, একটি ক্যাঙারুর মৃত্যু হয় শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। পরে, হরিণ, সম্বর ‘এনক্লোজ়ার’ থেকে বেরিয়ে আসার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাচক্রে, এর পরেই বেঙ্গল সাফারির অধিকর্তা দাওয়া সাংমু শেরপাকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে রায়গঞ্জে ডিএফও পদে বদলি করা হয়েছে। যদিও এটি ‘রুটিন বদলি’ বলেই দাবি বন দফতরের আধিকারিকদের। নতুন দায়িত্বে আসছেন কমল সরকার।
কয়েক দিন আগে সাফারি পার্কে অ্যালেক্সা নামে একটি ক্যাঙারুর মৃত্যু হয়। দেখভাল নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু হরিণ, সম্বর সাফারি পার্কের ‘এনক্লোজ়ার’ পেরিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। একটি সম্বর আবর্জনায় খাবার খুঁজছে। যা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন পশুপ্রেমীরা। ‘এনক্লোজ়ার’ থেকে কী ভাবে হরিণ, সম্বর বাইরে চলে এল, তা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও বদলির বিজ্ঞপ্তি জারির আগে, পার্কের তরফে দাওয়া সাংমু শেরপা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘এনক্লোজ়ার’ থেকে কোনও হরিণ, সম্বর বার হয়নি এবং মাঝেমধ্যে আশপাশের জঙ্গল থেকে পার্কে জীবজন্তু এসে থাকে। তবে পশুপ্রেমীদের বক্তব্য, হরিণগুলি সাফারি পার্কের বাইরে চলে গেলে, চোরাশিকারিরা তাদের মেরে ফেলতে পারত। কিছু দিন আগেই বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে চোরাশিকারিদের চক্র ধরা পড়ে, যারা হরিণের মাংস বিক্রি করত।
বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কথা জেনে বনমন্ত্রী দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি দেখতে বলেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বেঙ্গল সাফারিতে ইঞ্জিনিয়ারেরা রয়েছেন। নতুন করে কয়েক জায়গায় এনক্লোজ়ারে ফেন্সিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। কয়েক বছরে বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় ফেন্সিং নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” বিবৃতিতে দাওয়া সাংমু শেরপা আরও দাবি করেছিলেন, সম্বর ও হরিণ বাইরে ঘোরার ভিডিয়োটি কোনও দর্শকের তোলা এবং পার্কের সমস্ত জীবজন্তু সুরক্ষিত রয়েছে। যদিও অন্য একটি ভিডিয়োয় (ভি়ডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) হরিণের পচা দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ এবং কিছু অসুস্থ হরিণ দেখা গিয়েছে বলেও দাবি। পার্কের একটি সূত্রে খবর, কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি হরিণ মারা গিয়েছে এবং সাফারি পার্কের কিছু জায়গায় ‘ফেন্সিং’ খোলা অবস্থায় রয়েছে। তবে সে সব মানেননি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ সবের মধ্যেই অধিকর্তার বদলির খবরে শোরগোল পড়ে যায় কর্মীদের মধ্যে।