ইংরেজবাজারে জলসা মঞ্চে অতিথিরা। নিজস্ব চিত্র।
আনলক পর্ব চললেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তাই প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও জমায়েত করে নাচ-গানের আসরের মতো বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু মালদহে দেখা গেল উল্টো ছবি। শাসকদলের নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে কয়েক হাজার লোকের সামনে জলসা চলল রাত্রি ১টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত্রে মালদহে ইংরেজবাজার থানা এলাকার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইংরেজবাজারে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র মহদীপুরে এই আসরের আয়োজন হয়। আয়োজক ‘মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’। গত ৫ বছর ধরেই বছরের এই সময় গরিবদের শীতবস্ত্র দেওয়া-সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জলসাও। কিন্তু এই বছর যেখানে প্রশাসনের তরফে গৌড়ের এই অঞ্চলে পিকনিকের আয়োজনের অনুমতিই দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে এমন জলসার আয়োজন হয় কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ওই জলসায় উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রতিভা সিংহ, জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ী, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ মণ্ডল, ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী লিপিকা বর্মন ঘোষ, ইংরেজবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায়, ইংরেজ বাজারের বিডিও সৌগত রায়, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ-সহ অনেকেই। লিপিকা বর্মন ঘোষের স্বামী প্রসূন ঘোষ এই মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক।
জলসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কী ভাবে এই অনুষ্ঠানের অনুমতি মিলল এবং করোনাবিধি এক প্রকার শিকেয় তুলে রেখে প্রশাসনিক কর্তা আর শাসক দলের নেতানেত্রীর উপস্থিতি কী করে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “আমি জেলার বাইরে রয়েছি। বিষয়টি জানা নেই।” আইসি বলেন, “প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”