রায়গঞ্জের কৃষি দফতরের সামনে কৃষকদের লাইন। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের তরফে মোবাইলে বার্তা যাওয়ার পরই কেন্দ্রের প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’-র সুবিধা পেতে ব্লকে ব্লকে কৃষি দফতরে উপচে পড়ছে কৃষকদের ভিড়। একই ছবি দেখা গেল রায়গঞ্জের কৃষি দফতরেও। সেখানে যেন হঠাৎ করে মেলা বসে গিয়েছে। সোমবারই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে নথিপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। আর তাই কয়েক হাজার কৃষক জড়ো হয়েছিলেন কৃষি দফতরে। আর তাঁদের সাহায্য করতে মুহুরী বা খাবারের দোকানদাররাও ভিড় করেছেন সেখানে।
কৃষকরা জানিয়েছেন শুক্রবার তাঁরা মোবাইলে একটি মেসেজ পান। সেখানে জানানো হয় সোমবারের মধ্যে জমা দিতে হবে নথিপত্র। মাঝে শনি রবিবার থাকায় সোমবার কয়েক হাজার কৃষক নথিপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন। তবে রায়গঞ্জের সহকৃষি অধিকর্তা তুষারকান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, কাজের চাপ থাকায় তাঁরা শনিবার এবং রবিবারও কাজ করেছেন। শেষ কৃষকের নথি জমা নেওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সোমবার রাতেও কাজ করবেন তাঁরা।
এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ৩ কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা করে পান কৃষকরা। নথিপত্র জমা করতে আসা কিছু কৃষক আবার দোলাচলে। কারণ তাঁদের কথায়, এক দিকে এই প্রকল্প কেন্দ্রের আর মেসেজ এসেছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলেই তাঁরা আশাবাদী।
আর এর মাঝেই উপরি আয়ের জন্য ল্যাপটপ প্রিন্টার নিয়ে অনলাইনে আবেদন জমার কাজ শুরু করেছেন কিছু মুহুরী। কেউ আবার কিছু টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র লিখে দিচ্ছেন। কেউ আবার খুলে বসেছেন অস্থায়ী খাবার ও চায়ের দোকান। সব মিলিয়ে কিষান সম্মান নিধি নিয়ে রাজ্য কেন্দ্রের শাসক দলের তৎপরতা পাল্টা তৎপরতার মধ্যেই জমজমাট পরিবেশ রায়গঞ্জ কৃষি দফতরে।