বামফ্রন্টের তরফে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা ক্ষেত্রে আরএসপি-র নির্মল দাসকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও তা মানতে নারাজ সিপিএম। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আরএসপি-র জেলা সভাপতি তাদের প্রার্থীকেই বামফ্রন্টের প্রার্থী বলে ঘোষণা করে। জেলা সিপিএম নেতৃত্বও পাল্টা কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বরঞ্জন সরকারকে পাশে বসিয়ে সমর্থনের কথা ঘোষণা করায় দুই শরিকের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। চলতি মাসেই বামফ্রন্টের তরফে নির্মলবাবুর নাম ঘোষণা করা হলেও তা প্রথম থেকেই মানতে চায়নি আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএম।
বিষয়টিকে সিপিএমের জেলা নেতাদের হুকুমদারি বলে মনে করছেন আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী। তিনি এ দিন ফোনে বলেন, “রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নির্মলবাবুর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তা মানছে না জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁরা কার্যত হুকুমদারি করার চেষ্টা করছেন। বাম মনোভাবাপন্ন মানুষ সহজে নিজেদের বিবেক ভুলে কংগ্রেসকে ভোট দেবে না। বিষয়টি নিয়ে বিমান বসুর সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
আরএসপি-র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিকও সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বামফ্রন্টের প্রার্থী নির্মল দাস। সেই হিসেবেই প্রচার চলছে। তাঁরা জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেছিলেন কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব কংগ্রেসকে সমর্থনের বিষয় অনড়। এতে স্বাভাবিক ভাবেই দুই দলে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হবে। তবে আরএসপি নির্বাচন থেকে সরে আসবে না।
এ দিন আলিপুরদুয়ার জংশন লিচুতলায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সিপিএমের ১ লোকাল কমিটির সম্পাদক মৃদুল সেগুপ্ত। তিনি জানান, জেলা সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে বুধবার কংগ্রেস নেতৃত্বর আলোচনার পরে এ দিন যৌথ প্রচারের বিষয় আলোচনা হয়। এদিন বিশ্বরঞ্জন সরকারকে কমরেড বলেও সম্বোধন করেন মৃদুলবাবু।
তিনি জানান, সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে হঠাতে বাম ও গণতান্ত্রিক জোট চাইছে। তাই এখানে বিশ্বরঞ্জনবাবুকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টে ঘোষিত প্রার্থীর বদলে সিপিএম আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসকে সমর্থন করল কেন, এই প্রশ্নের জবাবে মৃদুলবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে। আগামী দিনে বিজেপিকে হঠাতে দেশেও জোট হবে। সেই জন্য এখানে তৃণমূলকে হঠাতে আমার বিশ্বরঞ্জনবাবুকে সমর্থন করছি।’’
বিশ্বরঞ্জনবাবু জানান, সাধারণ মানুষ চাইছে তৃণমূলকে হঠাতে। আরএসপি প্রার্থী দিলে তাতে কিছুটা হলেও সুবিধে পাবে তৃণমূল।