পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে রুখতে আলিপুরদুয়ার জেলায় বামেদের সঙ্গে সমঝোতার কথা বললেন জেলা সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকার। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের জরুরি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্বরঞ্জনবাবুর দাবি প্রদেশ সভাপতি স্থানীয় ভাবে সমঝোতায় আপত্তি করেননি। ইতিমধ্যে জেলায় পঞ্চায়েত স্তর বিরোধী শূন্য করবে বলে প্রচার চালিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। বিশ্বরঞ্জনবাবু একথা জানালেও সিপিএম নেতৃত্ব বামফ্রন্ট গত ভাবে লড়ারই পক্ষে।
বিশ্বরঞ্জন সরকার জানান, ইতিমধ্যে কুমারগ্রাম, শামুকতলা, আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় নীচুতলার কর্মীরা আসন সমঝোতার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস চালাবে। মানুষ তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়তে চাইছে।’’
এদিকে যারা কংগ্রেসের প্রার্থী হবেন মনোনয়ন থেকে প্রচার সমস্ত খরচই তাঁদের নিজেদেরকেই বহন করতে হবে বলে জানান জেলা কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘দলীয় ভাবে আর্থিক সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়। এ দিন তা প্রদেশ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছেন।” বিশ্বরঞ্জনবাবু জানান, জেলাপরিষদের ক্ষেত্রে জোট চাইলে বামদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা দরকার। তবে বামেদের থেকে কোনও সাড়া এখনও নেই।
যদিও কংগ্রেসের তরফে সমঝোতার বার্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না জেলা সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় জানান, তাঁরা বামফ্রন্ট গত ভাবেই লড়তে চান। আজ মঙ্গলবার আসন নিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। তবে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনিও। তাঁর দাবি, ‘‘মনোনয়ন তোলার সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। শাসক দল বিরোধী প্রার্থীদের চাপ দিয়ে মনোনয়ন তোলানোর চেষ্টা করবে বলেই এই কৌশল।’’
এই বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি মোহন শর্মা জানান, তাঁদের নব্বই শতাংশ প্রার্থী তৈরি। উন্নয়ন হওয়ায় বিরোধীরা কেউ প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না বলে তাঁর দাবি।