সিপিএম নেতা রাম দাস বহিষ্কৃত

পুরভোটে খারাপ ফলের পরেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে বহিষ্কার করল দল। মালবাজার পুরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর এবং আশির দশকে মালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাম দাসকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০১১ তে রাম দাসকে জোনাল কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানো হয়। এর পর ২০১৪তে তাকে লোকাল কমিটি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০২:২৯
Share:

পুরভোটে খারাপ ফলের পরেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে বহিষ্কার করল দল। মালবাজার পুরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর এবং আশির দশকে মালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাম দাসকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০১১ তে রাম দাসকে জোনাল কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানো হয়। এর পর ২০১৪তে তাকে লোকাল কমিটি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মালবাজার সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক পার্থ দাস জানান, রাম দাসকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

Advertisement

দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ১৫টি ওয়ার্ডের মালবাজার পুরসভায় এবারেই প্রথম এককভাবে পুরবোর্ড দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ৯টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। ৪টি ওয়ার্ডে বামেরা জয়ী হয়। রাম দাস যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা লাল দুর্গ হিসাবে পরিচিত সেই ১ নম্বর ওয়ার্ডেই এবারে জিতেছেন মালবাজার পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। রামবাবুর ছেলে সৈকত দাস নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। বাম প্রার্থীর হয়ে রামবাবুকেও প্রচারে বের হতে দেখা যায় নি। সামগ্রিক কারণেই এই বহিষ্কার বলেই মনে করছে মালবাজারের সিপিএম নেতাদের অনেকে।

তবে রামবাবু বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে মর্মাহত। এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি জীবনে দলীয় প্রতীকে কোন নির্বাচনে পরাজিত হইনি। এবারেও দল আমাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। অসুস্থতার জন্যে রাজি হইনি। আমার ছেলের তৃণমূলে যোগ দেওয়া কী আমার শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ হতে পারে? তবে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক পার্থ দাস অবশ্য রাম দাসের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘রামবাবু যা খুশি বলতেই পারেন। দলীয় অনুশাসন মেনেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement