West Bengal Assembly Election 2021

উত্তরের প্রচারে সিদ্দিকির দরকার নেই, বলছে বামেরা

মালদহের সুজাপুর এবং মোথাবাড়ি এলাকায় ধর্মগুরু পীরজাদা আব্বাসের ভক্ত থাকলেও তাঁর নতুন দল আইএসএফের সংগঠন নেই।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু ও মেহেদি হেদায়েতুল্লা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে রাজ্য সিপিএম তথা বাম নেতারা যখন হইচই করছে, তখন অন্য ছবি উত্তরবঙ্গের বাম নেতাদের মধ্যে। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ ও শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যদের দাবি, উত্তরবঙ্গে আব্বাসের অনুগামী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কার্যত নেই বললেই চলে। পীরজাদা আব্বাসের প্রয়োজনীয়তা এখানে তেমন রয়েছে বলে মনে করছেন না তাঁরা। তাই এখানে আব্বাসের প্রচারের দরকারও নেই বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। আব্বাস ছাড়া প্রচারের জন্যই তারা পরিকল্পনা করেছেন।

Advertisement

মালদহের সুজাপুর এবং মোথাবাড়ি এলাকায় ধর্মগুরু পীরজাদা আব্বাসের ভক্ত থাকলেও তাঁর নতুন দল আইএসএফের সংগঠন নেই। চাকুলিয়ার বিধায়কের মতে, তাঁর বিধানসভা এলাকা বা উত্তরবঙ্গে আব্বাসের অনুগামী কার্যত নেই। নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রচারে তিনি জোটের প্রচারকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘জোটে তথা সংযুক্ত মোর্চায় আইএসএফ আসছে ঠিকই। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই প্রচার করব। আব্বাসের প্রয়োজন নেই।’’ তবে জেলায় বা তাঁর বিধানসভা এলাকায় আব্বাসের কর্মসূচি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু ভাবা হয়নি। বরং বাম-কংগ্রেস জোটের বার্তা কী ভাবে জোরদার করা যায় সেই চিন্তা তাঁকে ভাবাচ্ছে। কারণ, ২০১৬ সাল থেকে জোটের কথা বলা হলেও তা সে-ভাবে না হওয়ায় জোট সমর্থকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘আব্বাস সিদ্দিকির এবং তাঁর ফুরফুরা শরিফের অনুগামীরা উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমানের একাংশে ভাল সংখ্যায় আছেন। কিন্ত উত্তরবঙ্গেওই সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু মানুষ কার্যত নেই।’’

বাম জমানায় প্রভাবশালী মন্ত্রী শিলিগুড়ির বিদায়ী বিধায়ক অশোকবাবু। তিনিও বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে আব্বাসের প্রচারের প্রয়োজন নেই। এ দিকে তাঁদের লোকজন তেমন নেই। আমরা নিজেরাই প্রচার করে নেব।’’

Advertisement

মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে একাধিক আসন জোট শরিক হিসেবে দাবি করছে আইএসএফ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর বিধানসভা তারা দাবি করছে বলে জোটের একটি সূত্রে খবর। উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, ‘‘জেলায় একটি আসন আইএসএফ দাবি করছে। ইসলামপুরের আসন নিয়েও তারা কথা বলছে। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’’ উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, ইসলামপুর এবং ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রগুলোয় সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর। গোয়ালপোখরে যেমন ৭৭ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। ইসলামপুরে ৭২, চাকুলিয়ায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। এসব এলাকায় জোটের ভাল ভোটও রয়েছে। রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের কথায়, এখনই আব্বাসের বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা। প্রদেশ নেতৃত্ব কী বলছেন সেই নির্দেশের অপেক্ষায় তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement