আহত সিপিএম কর্মী ভর্তি হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র
ভোট প্রচারে বেরোনো বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা থানার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায়।
অভিযোগ, ওই ঘটনায় সিপিএমের মাথাভাঙা জোনাল কমিটির সদস্য সুদীপ সরকার সহ ৫ জন জখম হয়েছে। এদের মধ্যে পরেশ দাস বলে এক সিপিএম কর্মীকে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য ওই ঘটনা ঠিক নয় বলে দাবি করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি।”
মাথাভাঙার সিপিএম প্রার্থী খগেন বর্মনের অভিযোগ, এ দিন ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারের কাজ করছিলেন কয়েকজন কর্মী। তাঁদের সঙ্গে জোনাল কমিটির সদস্য সুদীপবাবুও ছিলেন। সেই সময় আচমকা হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। সেই সময় পরেশবাবুর মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ওই এলাকায় যান খগেনবাবু। তিনি বলেন, “ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় না। মানুষ ভোটের মাধ্যমেই এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে।” তৃণমূলের মাথাভাঙা কেন্দ্রের প্রার্থী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলার যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে মানুষ দলে দলে আমাদের দিকে এসেছেন। তাতেই ভয় পেয়ে মিথ্যে কথা বলতে শুরু করেছে সিপিএম।”