বামফ্রন্টের আইন অমান্য। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে। ছবি স্বরূপ সাহা।
শ্রম কোড ও নতুন পরিবহণ আইন বাতিল, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ চালু-সহ একাধিক দাবি ও সন্দেশখালি-কাণ্ডের প্রতিবাদে আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন চত্বরে। সরকারি ছুটি থাকলেও, সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ উদ্যোগে এ দিনের এই আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। দুই জেলাতেই আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নেমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ দিন মালদহের ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়েও এক ঘণ্টা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন ও অবরোধে এ দিন ইংরেজবাজারে যানজট বেঁধে যায়।
শ্রম কোড ও নতুন পরিবহণ আইন বাতিল, ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ চালু, কৃষিপণ্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনগুলির কর্মসূচি ছিল মালদহের জেলাশাসকের দফতরে। সরকারি ছুটি থাকায় অফিস বন্ধ ছিল। তবে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এ দিন আন্দোলনকারীরা জড়ো হন রথবাড়ি মোড়ে। মিছিল করে গিয়ে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। আগে থেকেই জেলাশাসকের দফতরের বাইরে ‘গার্ড রেল’ দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। আন্দোলনকে ঘিরে জেলাশাসক অফিস চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে, ধস্তাধস্তি বাধে। ফোয়ারা মোড়েও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।
সিটুর মালদহ জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতিতে কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ দিশাহারা। জেলায় জেলায় কাজ না থাকায় ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন মানুষ। সন্দেশখালিতে মহিলারা নির্যাতিত। এ সবের প্রতিবাদেই এ দিনের আইন অমান্য আন্দোলন।’’ পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘আন্দোলনকে ঘিরে কোনও গোলমালের খবর নেই।’’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটেও আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা ছড়ায়। আন্দোলনকারীরা জোর করে ব্যাড়িকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করতেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বাধা দেয়। এই আইন অমান্য কর্মসূচির আগে, শহরে বিক্ষোভ-মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ দিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।