উত্তরবঙ্গের দূষণ নিয়ে আগেই রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এ বার সেই মামলায় মুখ্যসচিবের হলফনামা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতার জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
মুখ্যসচিবের তরফে জমা দেওয়া হলফনামাটিকে অসম্পূর্ণ বলেও আখ্যা দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, কোনও রকমের তথ্য গোপনের চেষ্টা করলে আদালত তা মেনে নেবে না।
উত্তরবঙ্গের নদী ও জঙ্গলে পরিবেশ দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও উত্তরবঙ্গের চার জেলার জেলাশাসককে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল। সুভাষবাবু জানান, কোনও জেলাশাসকই হলফনামা দাখিল করেননি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক একটি রিপোর্ট পাঠালেও তা গ্রহণ করেনি আদালত। মুখ্যসচিবের হয়ে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি হলফনামা জমা দেন। তা দেখে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হলফনামাটি অসম্পূর্ণ। তাতে কিছু তথ্যগত বিভ্রান্তিও রয়েছে। এই কারণে ফের মুখ্যসচিবের কাছে হলফনামা তলব করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের গজলডোবায় মেগা পর্যটন সার্কিট গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। সেই এলাকায় পরিবেশ বিধি মানা হচ্ছে না বলেও আদালতে অভিযোগ জানান সুভাষবাবু। তিনি বলেন, পরিবেশগত ভাবে সংবেদনশীল এই জায়গায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ার আগে পরিবেশগত সমীক্ষা (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট) করা হয়নি। পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। আদালত জানিয়েছে, পর্যটন কেন্দ্র গড়ার জন্য আগে ছাড়পত্র নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তার পরেই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু করা যাবে।