Coronavirus

শ্রমিক ট্রেন চলবে কবে, বাড়ছে বিভ্রান্তি

একদিন আগেই যাত্রীট্রেন বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে। তার সঙ্গেই বিভিন্ন গন্তব্য থেকে শ্রমিক ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৬:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি

একদিকে শ্রমিক ট্রেন চালানোর ঘোষণা হয়েছে। অন্যদিকে তা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এর জেরে বিভিন্ন জায়গায় বিভ্রান্ত শ্রমিকরা। যাত্রী ট্রেন না চলায় বন্ধ অনুসন্ধানকেন্দ্র। ফলে অনেকেই স্টেশনে হাজির হচ্ছেন ট্রেনের খোঁজ নিতে। তাতে রেল পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীকে বাড়তি সচেতনতা নিতে হচ্ছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হচ্ছে, স্টেশনে আসবেন না।

Advertisement

একদিন আগেই যাত্রীট্রেন বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে। তার সঙ্গেই বিভিন্ন গন্তব্য থেকে শ্রমিক ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রেল। তাতে কেবল শ্রমিক ছাড়াও লকডাউনে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রী, তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকরাও ওই ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবে বলে রেল সূত্রের দাবি। কিন্তু এই ট্রেন চালানোর তথ্য বাইরে প্রচার করতে চাইছে না রেল।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, "কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী নির্দেশেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। তা না হলে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে পারে। কেবলমাত্র রাজ্য সরকার আমাদের জানাবে, কারা ওই ট্রেনে চড়তে পারবে।" উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে শনিবারই একটি বিজ্ঞপ্তিতেলা হয়েছে, যাত্রীরা যাতে কেউ স্টেশনে এসে রেলের খোঁজ না নেন, তা নজরে রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারে নেমেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক রেল।

Advertisement

সূত্রের দাবি, রবিবার মাটিগাড়া থেকে হেঁটে এনজেপি স্টেশনে এসে ট্রেনের খোঁজ করেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু ট্রেন চলছে না দেখে তাঁরা আবার ফিরে যান। যাওয়ার সময় একটি গাড়িতেই চেপে তাঁরা রওনা দিলে গেটবাজারের কাছে পুলিশ তাঁদের ধরলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোপনীয়তা থেকেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে শ্রমিকদের মধ্যে। মুম্বইয়ের বান্দ্রা থেকে মালদহের এক শ্রমিক শনিবারই জানিয়েছিলেন, শ্রমিক ট্রেনে জায়গা পাওয়ার জন্য সেখানে ভুয়া ফর্ম বিলি হয়েছে। এনজেপি বা শিলিগুড়ি জংশনে হাজির হয়ে অনেকেই খোঁজখবর করছেন বলে রেল সূত্রে দাবি। উত্তরবঙ্গের অন্য জায়গায় পৌঁছতে আগ্রহী তাঁরাও। কিন্তু স্টেশনে গেলে তাড়া করছে রেল সুরক্ষা বাহিনী। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ব্যাপারে যাবতীয় যোগাযোগ রাজ্য সরকারের সঙ্গে করতে হবে।

কিন্তু বাইরে আটকে থাকা শ্রমিক বা শিলিগুড়িতে আটকে পড়া শ্রমিকরা কীভাবে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, তাই জানতে পারছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement