প্রতীকী ছবি
বিজেপি সমর্থক হওয়ায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না—এমনই অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। এর প্রতিবাদ করায় বিজেপি সমর্থম এক দম্পতিকে মারধরেও অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই। মালদহের চাঁচলের ভগবানপুর পঞ্চায়েতের এই ঘটনা গড়িয়েছে থানা-পুলিশ পর্যন্ত। আহত ওই দম্পতিকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে! তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সমস্যা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েতে সমস্ত সদস্যরা ব্যক্তিগত ভাবে দুঃস্থ বাসিন্দাদের ত্রাণ বিলি করছেন। অভিযোগ ওঠে, ভগবানপুর গ্রামে দুঃস্থ হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি সমর্থকদের খাবার দেওয়া হচ্ছিল না। তারই প্রতিবাদ করেন বিজেপি সমর্থক রাকেশ প্রামাণিক। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্বামীকে মারধর করতে দেখে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী। তাঁকেও মারধরের পাশাপাশি চরম হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
রাকেশ রাস্তার ধারে চপ-চাউমিন বিক্রি করেন। তাঁরও দোকান বন্ধ। রাকেশ বলেন, ‘‘কে দিচ্ছে, কী ভাবে দিচ্ছে জানি না। কিন্তু যে দলেরই হোক, প্রকৃত অভাবিরা যাতে ত্রাণ পায়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরচন্দ্র বর্মণ বেছে বেছে নিজেদের দলের লোকজন, এমনকি যাঁদের তেমন প্রয়োজন নেই তাঁদেরও ত্রাণ দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করতেই আমাকে মারধর করা হল।’’
বিজেপির মালদহ জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, ‘‘এই সঙ্কটের সময়ে সর্বত্র একযোগে সবাই লড়াই করছেন। আর সেখানেও তৃণমূল রাজনীতি করছে।’’
যদিও ভগবানপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সৈয়দ আরিফ বলেন, ‘‘এলাকার প্রতিটি বুথে সদস্য, নেতারা নিজেদের মতো করে, সাধ্য অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী বিলি করছেন। ফলে সবাইকে তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রাকেশের সঙ্গে যা হয়েছে তা ভুল বোঝাবুঝির জন্যই হয়েছে। এমন যাতে আর না হয় তা দলের তরফে দেখা হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)