প্রতীকী ছবি।
করণদিঘিতে এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। লকডাউনের জেরে খাবার না পেয়ে দুঃস্থ পরিবারের ওই কিশোরী শনিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে রবিবার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। এ দিন রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকের পরে ৃঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ওই কিশোরীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
করণদিঘির বিডিও বিজয় মোক্তারের দাবি, ওই কিশোরীর পরিবার সরকারি তরফে রেশন ও মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে। তাই খাবারের অভাবে ওই কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পুলিশ জানায়, তার নাম নিখাত পরভিন (১৬)। তার বাবা শেখ দানেশ ও মা জাহানারা খাতুন বিড়ি বাঁধেন। দানেশ দিনমজুরি করেন। তাঁদের পাঁচ মেয়ে। নিখাত বড়। শনিবার সকালে ঘরে নিখাতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
জাহানারার দাবি, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বিড়ি বাঁধার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পড়শিদের কাছ থেকে চাল, ডাল ও আনাজ চেয়ে বাড়িতে রান্না করে খাচ্ছিলেন। কিন্তু সাত জনের সংসারে তা পর্যাপ্ত ছিল না। মাঝেমধ্যেই অর্ধাহারে থাকতে হত। জাহানারার কথায়, ‘‘পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী বা ত্রাণ পাইনি। সেই কারণেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির অভিযোগ, করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহ ও প্রশাসনিক কর্তারা দুঃস্থদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন না। খাবারের অভাবেই ওই কিশোরীর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
মনোদেবের পাল্টা বক্তব্য, তৃণমূল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে ওই কিশোরীর পরিবারকে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।