প্রতীকী ছবি
২২ তারিখে ‘জনতা কার্ফু’ পালনের পর ২৪ মার্চ ঘোষিত হয় সম্পূর্ণ লকডাউন। এমনিতেই রাস্তাঘাটে লোকজন কম। হাতেগোনা কয়েকটি জরুরি পরিষেবার দোকান বাদে বেশিরভাগ দোকানেরই শাটার নামানো। ব্যবসা, কাজকর্ম—সব বন্ধ। অথচ সামনেই পয়লা বৈশাখ। প্রতি বছরের চেনা ব্যস্ততার জায়গায় এ বার সবার মাথায় একটাই চিন্তা, কবে আবার সব ঠিক হবে! হালখাতা উৎসব দূরে থাক, বছরের প্রথম দিন পুজোটুকুও করবেন কি না, তা নিয়েও নিশ্চিত নন ব্যবসায়ীরা। যদিও ব্যবসায়ীমহলের দাবি, লোকজনকে আমন্ত্রণের তো প্রশ্নই ওঠে না। তবে ক’দিন আগেও ছোট করে পুজো করার চিন্তাভাবনা চলছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটাও করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না, বলছেন তাঁরা।
অন্যান্য জায়গায় মতো ইসলামপুরেও প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বেশিরভাগ দোকান ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে পুজো হত। সন্ধ্যায় দোকানগুলি গমগম করত আমন্ত্রিতদের ভিড়ে। বছর শেষে হিসেব উপলক্ষে মুদির দোকান হোক বা বড় প্রতিষ্ঠান—সর্বত্রই হালখাতা উৎসব করা হত। যদিও ব্যবসায়ীরা অনেকে জানিয়েছেন, এ বার পরিস্থিতি আলাদা। ব্যবসা বন্ধ। রাস্তাঘাটে লোকজন চলাফেরা করার উপায় নেই। গ্রাম থেকেও কেউ শহরে আসতে পারছেন না। ধার বাকি মেটানো তো দূরের কথা প্রায় এক মাস ধরে হচ্ছে না কোনও কাজই। তবে এর জের কতদিন চলবে সে আশঙ্কাতেই ব্যবসায়ী মহল। ইসলামপুর মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদেব নন্দীর কথায়, ‘‘অনেক দোকানের শাটার নামানো। তাই বেশিরভাগ দোকানেই বছরের প্রথম দিন গণেশ পুজোর হবে না। আর যাঁরাও বা পুজো করবেন তাঁরাও কোনও অনুষ্ঠান করবেন না।’’
ইসলামপুরের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘মূলত এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত সারা বছরের হিসেব মেলানো হয়। যা ধার বাকি থাকে মেটানো হয়। কিন্তু এ বার তো কাউকে কিছু বলাই যাবে না। আবার, ইসলামপুরের এক নির্মাণসামগ্রী বিক্রেতা অমিত কুণ্ডু বলেন, ‘‘প্রতিবছরই পয়লা বৈশাখে অনুষ্ঠান করি। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। কিন্তু এ বার দোকান বন্ধ। পুজোটাও কী ভাবে করব ভাবছি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)