অমান্য: মাস্ক ছাড়াই রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের পথে। নিজস্ব চিত্র
নিয়মিত চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। শিবির করে প্রশাসনের উদ্যোগে মাস্কও বিলি করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, তারপরও মাস্ক ছাড়াই দেদার রাস্তায় বার হচ্ছেন একাংশ মানুষ। তাঁদের হুঁশ ফেরাতে ফের তৎপরতা বাড়াল পুলিশ। কোথাও মাস্ক না থাকায় তাঁদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোথাও আবার মাস্ক না থাকায় পরনের টি-শার্ট খুলিয়েই এক যুবকের মুখে বেঁধে দিল পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এবার থেকে মাস্ক ছাড়া কেউ রাস্তায় বেরোলে ধরপাকড় করা হবে।’’
করোনাভাইরাসের বাড়-বাড়ন্তের পর থেকেই মাস্ক নিয়ে হইচই পড়ে যায় মালদহে। সাধারণ কাপড়ের সস্তা মাস্কই বাজারে বিক্রি হতে শুরু করে চড়া দামে। দোকান থেকে উধাও হয়ে যায় এন-৯৫ মাস্ক। ফলে মাস্ক নিয়ে শুরু হয়ে যায় কালোবাজারি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাস্ক তৈরির উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় হাজার হাজার মাস্ক। পুলিশ, সরকারি দফতর, হাসপাতালে সেই মাস্ক বিলিও করা হয়। পরে বিভিন্ন ওষুধের দোকানেও তা বিক্রি করা হয়েছে। এখন মাস্ক পরে রাস্তায় বার হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সরকারও।
তারপরেও মুখে মাস্ক না দিয়েই দেদার রাস্তায় বেরোচ্ছেন একাংশ মানুষ। অভিযোগ, দোকান-বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন তাঁরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও কার্যত একই ছবি। এ দিন সকালে ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে দেখা যায় মাস্ক ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে রাস্তায় বার হয়েছেন এক যুবক। তাঁর পথ আটকায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী। ওই যুবকের কাছে মাস্ক না থাকায় তাঁর টি-শার্ট খুলে মুখ ঢাকার নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরেই প্রায় ৩০ জনকে মাস্ক না থাকায় বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ পরে ধরপাকড়ও করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোককুমার মোদক বলেন, ‘‘জেলায় পর্যাপ্ত মাস্ক রয়েছে। প্রশাসনের তরফেও বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করে মাস্ক পরতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ এ বার রাস্তায় মাস্ক না পরে বাইরে বার হলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।