কর্তব্য: লকডাউন রক্ষায় কামারপাড়া হাটে তৎপর পুলিশ। সচেতনতায় রবিবার মাঠে নামলেন বিডিও-ও। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনেও বাবুরহাট, নিউ মার্কেটের বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। চলছে দেদার টোটো। চৌরঙ্গিতে দাপাদাপি মোটরবাইকের। কয়েক দিন ধরেই এমনই ছবি কালিয়াচক সদরে।
বেনিয়ম রুখতে রবিবার সকাল থেকেই সক্রিয় হল পুলিশ। লকডাউনের বিধি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ২০ জনকে। ধৃতদের মধ্যে স্টেশনারি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে টোটো চালক, পিক-আপ ভ্যানচালকও রয়েছেন। ৬টি টোটো, ৪টি মোটরবাইক ও একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়েছে। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের এ দিন মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ মার্চ লকডাউন শুরুর পরে প্রথম এক সপ্তাহ পুলিশের কড়াকড়ি থাকায় কালিয়াচক সদরের বাজার-দোকানে ভিড় ছিল না। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ছবিটা বদলায়। লকডাউন ভাঙলে গ্রেফতার করা হবে বলে প্রচার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও শহরবাসীর একাংশের বেপরোয়া ভাব বদলায়নি।
রবিবার সকাল থেকেই কালিয়াচকের নিউমার্কেট, বাবুরহাট, কালিয়াচক বাজারে ভিড় জমে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলে কেনাকাটা। রাস্তায় ছিল টোটো, মোটরবাইক। সকাল ৮টা নাগাদ কালিয়াচক থানার পুলিশ ও র্যাফ রাস্তায় নামে। লকডাউনে নিয়ম ভেঙে কয়েকটি দোকান খোলায় ৪ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এক টোটোচালক ও দু’জন চায়ের দোকানিকেও ধরে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একটি পিক-আপ ভ্যানের চালক-সহ ১৩ জনকে।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এর আগে পুলিশ নানা ভাবে কালিয়াচকের বাসিন্দাদের সচেতন করেছে। কিন্তু তার পরেও কিছু মানুষ লকডাউন মানছেন না। সেই কারণে এ দিন কালিয়াচক থেকে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান লাগাতার চলবে।’’